হিন্দু শাস্ত্র মতে পূর্বপুরুষদের মর্যাদা দেবতার সমান। ভাদ্রমাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথি, এই সময়কাল পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত। কথিত এই সময়ে পিতৃলোক থেকে ইহলোকে আসেন পিতৃপুরুষরা। আবার অনেকেই পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করে শ্রাদ্ধ, তর্পণ ও পিন্ড দান করেন অনেকে। আবার কারও যদি পিতৃ দোষ থাকে তাহলে তা নিবারণের জন্য এই সময় আদর্শ বলে মনে করা হয়। তবে পিতৃ দোষ নিবারণ করা যায় বললেই কিন্তু হল না। তার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন। যা না মানলে সবটাই বৃথা। আগামী ২ রা অক্টোবর অবধি থাকবে এই বছরের পিতৃপক্ষ। কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষ থাকলে এই সময় কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা দূর হবে। তবে পিতৃ দোষ কাটানোর আগে আদৌ আপনার পিতৃ দোষ আছে কি না তা বুঝতে হবে।
কী ভাবে বুঝবেন পিতৃ দোষ আছে কিনা?
পিতৃ দোষের কারণে অনেক সমস্যা হতে পারে। পিতৃ দোষ থাকলে অনেক পরিশ্রমের পরেও সন্তান লাভের সুখ থেকে বঞ্চিত থেকে যান অনেকেই। সন্তান কুপথেও চলে যেতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে চাকরি বা ব্যবসায় ব্যাক্তিকে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। কঠোর পরিশ্রম করেও সফলতা পাওয়া যায় না। কাজে বারবার ব্যাঘাত আসে।
ঘরে সুখ-সমৃদ্ধিও নষ্ট হতে পারে। কেউ না কেউ সবসময় অসুস্থ থাকে। বাড়িতে বিবাদ বেড়ে যায়। ঋণের বোঝাও শেষ হতে চায় না। দারিদ্র্য সর্বদা তার উপর বিরাজ করে। এমনকি বাড়ির সন্তানদের বিয়েতেও বাধা আসে বারবার। এই সব সমস্যার সম্মুখীন যদি আপনিও হন তাহলে সাবধান, আপনার কুণ্ডলীতেও পিতৃ দোষ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে পিতৃ দোষ কাটাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন পিতৃপক্ষ কিন্তু পিতৃ দোষ কাটানোর উপযুক্ত সময়।