শ্রাবণ মাস হল হিন্দুদের জন্য একটি শুভ মাস। সাধারণত এই গোটা মাস জুড়ে শিবের বিশেষ উপাসনা করা হয়। এই মাসে শিবের কৃপা পেতে উপবাস, পুজো, জলাভিষেক ও বিশেষ রীতি মেনে পুজো করা হয়। সোমবারের সঙ্গে চাঁদের একটি সম্পর্ক রয়েছে। সোম মানে চন্দ্র। ভোলেবাবার মাথায় প্রথম সোমবার থেকে শেষ সোমবার পর্যন্ত উপবাস ও বিশেষ পুজো মনে করা হয়। অনেতেই রয়েছেন, চার বা আট নয়, ষোলো শোমবার পালন না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হন না। সাধারণত অবিবাহিতদের জন্য শিবের মাস অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই শুভ মাসে শিবের উপাসনা যেমন করা হয়, তেমনি উপযুক্ত জীবনসঙ্গী পাওয়ার ইচ্ছাপূরণ হতে পারে। শ্রাবণ সোমবার উপোস রাখলে পুজোর আচার, নিয়ম ও কী কী করণীয়, তা জেনে নিন এখানে…
শ্রাবণ সোমবারের বিশেষ পুজোর সঠিক রীতি
-উপবাসেক দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পুজোর ঘর পরিষ্কার করে নিন। তারপর ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলুন।
– ভগবান শিবকে পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘি, মধু এবং চিনির মিশ্রণ) নিবেদন করুন।
– শিবকে ফুল, ফল এবং বেল পাতা অর্পণ করুন।
– ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করুন, তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।
– দুধ, ধুতুরা ফুল, বেলপত্র, চন্দন, দই, মধু, ঘি ও চিনি নিবেদন করুন। পুজোর সময় মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র, ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র এবং রুদ্র অভিষেক মন্ত্র উচ্চারণ করে জপতে পারেন।
কী কী করবেন আর করবেন না
– দুঃস্থদের খাদ্য ও বস্ত্র দান করুন।
– আমিষ জাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
– কেউ কেউ উপবাস রাখার সময় রসুন ও পেঁয়াজ ভুলেও খাবেন না।
মাথায় রাখুন
– সারাদিন উপোস রাখতে না পারলে সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর উপোস ভাঙতে পারেন।
– যদি দুর্বল বা অসুস্থ বোধ করেন তবে উপোস পালনের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
– উপোসের সময় হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। তাই এদিন প্রচুর পরিমাণে জল, বাটারমিল্ক বা ফলের রস পান করতে পারেন।
– ফল, বাদাম এবং বীজের মতো হালকা খাবার খেতে পারেন।
– সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এদিন মনে পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুন। আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করতে পারেন।