হোলি (Holi 2023) আর রঙ উভয়ই একে অপরের সঙ্গে একাত্মভাবে জড়িত। এ বছর ৮ মার্চ পালিত হবে রঙিন উত্সব। হোলির আগের দিন পালিত হয় হোলিকা দহন (Holika Dahan)। তার মানে আগামী ৭ মার্চ পালিত হবে এই প্রথা। হোলির আগে মন্দের উপর শুভের জয়ের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয় এই জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ রীতি। মনে করা হয় হোলিকা দহনের মাধ্যমে সব ধরনের বিপদ ও অশুভ শক্তির (Negetive Energy) বিনাস হয়। হিন্দু ধর্মে এও মনে করা হয়, সমস্ত ধরণের সমস্যা এড়াতে এই হোলিকা দহন পালন করা হলেও এই শুভ উত্সব অনেক সময় সুখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশ্বাস করা হয় যে কোনও সময় খারাপ নজর যে কাউকে আঘাত করতে পারে। কুনজরের শিকার হয়ে জীবনটাই ছাড়খার হতে পারে। হোলিকা দহন ও হোলি খেলার সময় করা কিছু কৌশল বা অশুভ নজর থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রতিকার জেনে নিন…
হোলিকা দহনের দিনে বাইরে বের হলে, রাস্তার কোনও মোড়ে পুজো দিতে ভুলবেন না। এছাড়া বিতর্ক বা হাতাহাতিতে লিপ্ত হবেন না। ভুল করে যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে কুদৃষ্টি থএকে বাঁচতে কালো কাপড়ে তিল রেখে মাথায় সাতবার আঘাত করে হোলিকার আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন। এতে অশুভ দৃষ্টির বিপদ এড়ানো যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। যদি দ্বিতীয় দিনেও একই ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সে দিন থেকে কপালে হোলিকার ভস্ম তিলক আকারে লাগান।তাতে খারাপ নজর থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
মাথায় কাপড়় ঢেকে রঙ খেলুন
হোলির দিনে কারোর কুনজর পড়ার সম্ভাবনা থাকলে আগে মাথা ঢেকে রাখুন। কারণ যার উপর যে কেউ কিছু রেখে কৌশল বা তন্ত্র মন্ত্র চেষ্টা করতে পারেন। এমনটা এড়াতে, হোলি খেলতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় মাথায় টুপি,পাগড়ি পরা উচিত। দোলের দিন যদি কেউ মাথায় কিছু নিক্ষেপ করলে তা আপনার মাথায় স্পর্শ করবে না।
এমন খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন
হোলির দিন কারোর দেওয়া খাবার কখনও খাবেন না।এটি হল মারাত্মক একটি বিপদের ইঙ্গিত। বিশ্বাস করা হয় যে হোলির দিনে মিষ্টি খেয়ে উচিত। এই অবস্থায় কারোর মাধ্যমে তন্ত্র-মন্ত্রের বা তুকতাকের বিপদে পড়েন তাহলে কোনও জায়গায় কিছু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে ভুল করেও তার দেওয়া মিষ্টি জিনিস, পান, এলাচ ইত্যাদি খাবেন না।
কুদৃষ্টি এড়িয়ে যাবেন কীভাবে?
হোলির দিনে আপনি কোনও বিশেষ ব্যক্তির কুদৃষ্টিতে পড়েছেন বলে মনে করলে বা সন্তানদের খারাপ নজরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে হোলির দিনে পা স্পর্শ করে আশীর্বাদ নিন।