হিন্দু ধর্মে ১৮টি মহাপুরাণ রয়েছে এবং তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল গরুড় পুরাণ। যা সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চয়ই শুনেছেন কিন্তু এতে দেওয়া জিনিস ও নিয়ম সম্পর্কে সম্ভবত জানেন না। সনাতন ধর্মে, যখন কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তখন তার বাড়িতে ১৩ দিন ধরে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয়। কথিত আছে যে ১৩দিন ধরে এই পাঠ করার পরে, মৃত ব্যক্তির আত্মা বাড়ির মায়া ত্যাগ করে। এছাড়াও গরুড় পুরাণে এমন অনেক বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে যা মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে অবলম্বন করে উন্নতি লাভ করতে পারে। ভগবান বিষ্ণু গরুড় পুরাণে এমন ৫টি অভ্যাসের কথা বলেছেন, যার কারণে জীবনে দারিদ্র্য আসতে পারে। আর্থিক উন্নতি করতে কোন কোন অভ্যাসগুলি থেকে দূরে থাকবেন তা জেনে নিন…
সকালে দেরী করে ঘুম থেকে ওঠা
গরুড় পুরাণ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি রাতে দেরি করে ঘুমায় ও সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে তবে তা ভুল বলে গণ্য করা হয়। এই ধরনের ব্যক্তিরা খুবই অলস প্রকৃতির হয়। এই কারণে জীবনে সফলতা পায় না। অলস ভাবের কারণে হাতে সঠিক সময় এবং সুযোগ হারিয়ে ফেলে। যদি কোনও ব্যক্তি জীবনে উন্নতি করতে চায়, তবে প্রথমে দেরি করে ঘুমানো ও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।
পরিষ্কার ও শুদ্ধ শরীর – মন
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে যারা প্রতিদিন স্নান করেন না ও পরিষ্কার থাকেন না, লক্ষ্মী গৃহে প্রবেশ ককে না। এই মানুষ ইচ্ছা করলেও সফলতা পায় না। তাই সময়মতো এই অভ্যাস বদলানো ভালো। গরুড় পুরাণ অনুসারে, প্রতিদিন সকালে স্নান করুন, বাসি কাপড় ছেড়ে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন, ভগবানের ধ্যান ও প্রার্থণা করুন।
রাতে রান্নাঘর নোংরা করে রাখবেন না
বাড়ির বড়রা প্রায়ই রান্নাঘর পরিষ্কার করে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও সেই নিয়ম মেনে চলা হয় না। ব্যস্ততা ও অলসতার কারণে অনেকেই রাতে রান্নাঘরে এটো বাসন ফেলে রাখেন। গরুড় পুরাণ অনুসারে, এই অভ্যাসের কারণে ঘর থেকে লক্ষ্মী বেরিয়ে যেতে পারেন। এই অভ্যেস থাকলে লক্ষ্মীদেবী খুব রেগে যান। তাই রাতে রান্নাঘরে নোংরা বাসন রাখা উচিত নয়।
লোভী আচরণ নয়
লোভ করা অত্যন্ত খারাপ অভ্যেস। কিন্তু জানেন কি লোভের কারণে জীবনের একটি পরিস্থিতিতে ব্যর্থতার মুখে পড়তে হতে পারে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, যে ব্যক্তি সর্বদা অন্যের ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্যের দিকে নজর রাখে সে কখনও সুখী থাকে না। এই ধরনের ব্যক্তি নিজের কাছে যতটুকু রয়েছে, সেটাও ভোগ করতে পারে না।
খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকুন
গরুড় পুরাণ অনুসারে, অন্যের কাজকে ছোট করে দেখা, অন্যের জীবন খারাপ করার মানসিকতা রাখেন তাতে অসন্তুষ্ট হোন ধনলক্ষ্মী। কারণ নিজের সম্পর্কে ভালো চিন্তা না করলে অপরের ব্যাপারেও ভালো চিন্তাভাবণা করা যায় না।