জ্যৈষ্ঠমাসের শেষ বড় মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে ১৮ জুন। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, বড় মঙ্গলের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ ভক্ত। দেবতার আসনে না বসলেও, হিন্দুধর্মে দেবতারূপেই পূজিত করা হয় বজরঙ্গবলীকে। অপরাজেয়, অমর ও মৃত্যুঞ্জয়ীর প্রতীক হলেন হনুমানজী। এমনকি কলিযুগের দেবতা হিসেবেও হিন্দুদের মধ্যে প্রভাব রয়েছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার মতে, জ্যৈষ্ঠমাসের প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজীর পুজো করা হয়।
পৌরাণিক কাহিনি মতে, বড় মঙ্গলেই শ্রীরামচন্দ্রের সঙ্গে হনুমানজীর দেখা হয়েছিল। সেই জন্য জ্যৈষ্ঠমাসের প্রতি মঙ্গলকে যেমন বড় মঙ্গল পালিত হয়, তেমনি একে বুধোয়া মঙ্গল ও বলা হয়ে থাকে। এদিন হনুমানজির আশীর্বাদ পেতে অনেকেই উপবাস রেখে আরাধনা করেন। তবে এদিন বজরঙ্গবলীকে তুষ্ট করতে বেশ কিছু প্রতিকার পালন করলে সারাজীবন কোনও কিছুর অভাব থাকবে না। বুধোয়া মঙ্গলের দিনে কিছু সহজ ও সুন্দর প্রতিকার গ্রহণ করলে হনুমানজির আশীর্বাদ বর্ষিত হবে সারাবছর।
৪০ দিন হনুমান চালিসা পাঠ
জ্যেষ্ঠ মাসের শেষ বড় মঙ্গলবারের পর অর্থাত, পরবর্তী ৪০ দিন নিয়মিত হনুমানচলিশা পাঠ করা উচিত। ৪০দিনের জন্য করতে না পারলে কমপক্ষে ৪০ মঙ্গলবার শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হনুমানচলিশা পাঠ করা উচিত। তাতে হনুমানজির বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। সব কাজে বাধাও দূর হয়ে যায়। হনুমানচলিশা পাঠ করার সময় একটি পাত্র জল নিয়ে বসতে হবে।
তুলসীর মালা
জ্যৈষ্ঠ মাসের বড় মঙ্গলবারে তুলসী পাতার মালা বানিয়ে হনুমানজিকে অর্পণ করলে ভালো হয়। জ্যেষ্ঠ মাসের শেষ মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মালা অর্পন করুন। হনুমানজিকে তুলসীর মালা অর্পণ করলে মানুষের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। মানসিক চাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
নৈবেদ্যে ছোলা
শেষ বড় মঙ্গলবার কাঁঠালের তেলে সিঁদুর মিশিয়ে হনুমানজিকে ছোলা নিবেদন করুন। হনুমানজিকে ছোলা নিবেদন করলে শনির মহাদশা ও অন্তরদশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রাহুর প্রভাব থেকেও স্বস্তি পাবেন সহজেই।
নৈবেদ্যে বোঁদে ও বোঁদের লাড্ডু
এদিন হনুমানজিকে ১.২৫ কিলো বোঁদের লাড্ডু বা বোঁদের প্রসাদ নিবেদন করে প্রসাদ হিসেবে বিলি করা উচিত। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে বিলি করুন।