সনাতন ধর্মে দেব-দেবীর পুজোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হিন্দুদের বাড়িতে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় নিয়মিত ঈশ্বরের আরাধনা করা হয়। ধর্মীয় গ্রন্থে উপাসনার নিয়মগুলি বিশদভাবে ব্যাখ্যা রয়েছে, এই নিয়মগুলি অনুসরণ করলে সকলের জন্যই উপকারী হতে পারে। কিছু নিয়মের মধ্যে এমনও একটি নিয়ম রয়েছে যেখানে বেশ কিছু ধাতু রয়েছে যেগুলির ব্যবহার পুজোর সময় নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, পুজোর সময় এই ধাতুগুলি কোনও রূপে ব্যবহার করলে আর্থিক সংকটে পড়তে হতে পারে। তাই এমন ধাতুর তৈরি বাসনপত্র ভুল করেও ব্যবহার করা উচিত নয়।
ভুল করেও কোন ধাতু ব্যবহার করবেন না
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে যখনই পুজো করবেন তখন ভুল করেও লোহার পাত্র ব্যবহার করবেন না। কারণ লোহাতে মরিচে ধরে পড়ে। যেটি খাঁটি ধাতুর অন্তর্গত একেবারেই নয়।তাই ভুল করে যে কোনও দেব-দেবীর আরাধনায় লোহার পাত্র ব্যবহার করবেন না। তবে শনিদেবের পুজোর সময় লোহার পাত্র ব্যবহার করতে পারেন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে যখনই ধর্মীয় আচার বা পুজো করার সময় লোহা ছাড়াও ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতুও ব্যবহার করা উচিত নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই ধাতুর বাসনপত্রগুলিকেও অশুদ্ধ বলে মনে করা হয়। বাইরের জল ও বাতাসের সংস্পর্শে এসে সেগুলি দ্রুত মরচে ধরে যায়। এমনকি এই ধাতু থেকে মূর্তিও তৈরি হয় না। তাই পুজো করার সময় ভুল করেও ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম ধাতু ব্যবহার করা উচিত নয়।
রূপোর ধাতুর বাসন ও জিনিসপত্র
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রুপো ধাতু চাঁদ ঈশ্বরের প্রতীক, তাই চন্দ্রদেবের উপাসনায় আশীর্বাদ হিসাবে সুখ, শান্তি ও শীতলতা প্রদান করেন। ঐশ্বরিক কাজে রুপো ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
এই ধাতব পাত্রে ব্যবহার করুন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, তামাকে দেব-দেবীর পূজার জন্য সেরা ধাতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তামার পাত্রের ব্যবহার সবচেয়ে শুভ বলে মনে করা হয়। এর ব্যবহারে দেব-দেবীরা সন্তুষ্ট হন ও ইচ্ছাপূরণের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন ভক্তরা।