হিন্দু ধর্মে কর্পূর ব্যবহারের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও জ্যোতিষশাস্ত্রে কর্পূরের প্রতিকার অত্যন্ত কার্যকর বলে বিবেচিত। পুজোয় বেশি কর্পূর ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, কর্পূরের সুগন্ধে দেবতারা প্রসন্ন হন। এছাড়া বাস্তু শাস্ত্রেও কর্পূরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তু শাস্ত্রের মতে, কর্পূরের ধোঁয়া ও গন্ধে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যায়। কর্পূরের সুবাস ঘরে ইতিবাচক শক্তির প্রবেশ বাড়ায় এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে আসে। কর্পূর অশুভ গ্রহের প্রভাব কমায় এবং জীবনে সৌভাগ্য বাড়ায়।
পুজোয় কর্পূর কেন ব্যবহার করা হয়?
আধ্যাত্মিকতা ও জ্যোতিষের দৃষ্টিকোণ থেকে পুজোর সময় কর্পূর ব্যবহারের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে যে, পুজোয় কর্পূর ব্যবহার করলে দেব-দেবীরা তুষ্ট হন। পাশাপাশি এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
কর্পূরের গন্ধ ও ধোঁয়ায় বাস্তুদোষ দূর হয়-
বাস্তুতে কর্পূরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি ঘরে উপস্থিত যে কোনও ধরনের বাস্তু দোষ তাৎক্ষণিকভাবে দূর হয়। বাস্তু দোষ কেটে গেলে জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এই কারণে রোজ সন্ধ্যেবেলা ঘরে কর্পূরের ধোঁয়া দেওয়া উচিত।
কর্পূরের কিছু প্রতিকার-
১) পরিবারের মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি, বিবাদ লেগেই থাকে? বাড়ির যে কোনও কোণে এক টুকরো কর্পূর বা কর্পূরের বল রেখে দিন। এতে ঘরের মধ্যে থাকা যাবতীয় নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যাবে।
২) বিয়েতে বার বার বাধা আসছে? এই সমস্যাও দূর করে দেবে কর্পূর। ৬টি কর্পূর ও ৩৬টি লবঙ্গ নিন। এতে হলুদ ও চাল মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি দিয়ে দেবী দুর্গার পুজো করুন। এতে বিবাহের সমস্ত বাধা কেটে যাবে।
৩) একটার পর একটা রোগ লেগেই রয়েছে? বাস্তু শাস্ত্রে দোষ থাকলে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রোগ লেগেই থাকে। এক্ষেত্রে কর্পূর আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। বাড়িতে রোজ কর্পূরের ধোঁয়া দিন। এতেই কাজ হবে।
৪) আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটায় কর্পূর। আর্থিক লোকসান হলে কর্পূরের প্রতিকারকে কাজে লাগাতে পারেন। সূর্যাস্তের পর কর্পূরের জ্বালিয়ে লক্ষ্মীর পুজো করুন। এছাড়া আপনি পিতল কিংবা রুপোর বাটিতে কর্পূরের সঙ্গে লবঙ্গ জ্বালাতে পারেন। এতে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে যাবে।
৫) দাম্পত্য জীবনে মনোমালিন্য দূর করতে কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য শোয়ার ঘরে কর্পূরের ধোঁয়া দিতে পারেন। কিংবা ঘরের এক কোণে কর্পূর রেখে দিতে পারেন। এতে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।