বাস্তুদোষের জের পড়ে গোটা পরিবারের উপর। দৈনন্দিন দিন অজান্তেই আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ করে থাকি, যা পরবর্তীতে অশুভ ফল ভোগ করতে হয়। এমতাবস্থায় বিশেষ করে নারীদের কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে কারণ ঘরের বেশিরভাগ দায়িত্ব নারীদের ওপরই বর্তায়। দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হয়ে ঘর ছাড়ার পিছনে রয়েছে মহিলাদের বেশ কিছু বাজে অভ্যেস। সেই অভ্যেসগুলি বন্ধ না করলে ধীরে ধীরে কাঙাল হয়ে যেতে পারেন।
– ঘরের দরজা কখনওই লাথি বা হোঁচট খেয়ে খোলা যাবে না। যে মহিলারা এই কাজ করেন, দেবী লক্ষ্মী কখনও তাদের ঘরে প্রবেশ করেন না। যার কারণে তাদের আর্থিক সংকটের কোপ আছড়ে পড়ে নিসন্দেহে।
– মহিলাদের মনে রাখতে হবে ঘরের দোরগোড়ায় বসে কখনওই স্নান করবেন না, খাবেন না বা কথাও বলবেন না। কিংবা সেখানে দাঁড়িয়ে কোনও চুক্তি বা লেনদেনও করবেন না। মহিলারা এই কাজ করেন তাদের দেবী লক্ষ্মীর অসন্তুষ্টি সহ্য করতে হয়। তাই আজই এই কাজ বন্ধ করুন।
– বাস্তুশাস্ত্রে, ঝাড়ুকে দেবী লক্ষ্মীর রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। তাই ঝাড়ু সংক্রান্ত কিছু নিয়মের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। ভুল করেও ঝাড়ুতে পা দেবেন না, হোঁচট খাবেন না। এতে ঘরে দারিদ্র্যের লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে। এছাড়াও, মহিলাদের সূর্যোদয়ের আগেই ঘর পরিষ্কার করা উচিত। সূর্যোদয়ের পর পরিষ্কার করলে দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন।
– দেবী অন্নপূর্ণা বাড়ির রান্নাঘরে থাকেন বলে বিশ্বাস করা হয়। হিন্দু ধর্মমতে, ঘরকন্না কাজ যাঁরা করেন, তাঁরা স্নান না করে রান্নাঘরে প্রবেশ করতে পারেন না। এছাড়াও, রাতে রান্নাঘরে এঁটো বাসন রাখা উচিত নয়। এতে ক্ষুব্ধ হন লক্ষ্মীদেবী। যার কারণে মহিলাদের বাস্তু দোষের সম্মুখীন হতে হয় বার বার ও ঘরের সুখ-শান্তি দূরে সরে যায়।