সম্পর্ক (Relationship) অনেকটা দাবার মত। আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, সম্পর্ককে কখনও অস্বীকার করা চলবে না। সময় অনেকটাই বদলেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষও নিজেকে বদলেছে। শাশুড়ি ( Mother-In-Law) ও পুত্রবধূর ( Daughter-In-Law) সম্পর্কেও এসেছে পরিবর্তন। তবে তা একেবারেই হাতে গুটিকয়েক। শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক কেমন হয়, তা অনেকেরই জানা। এই সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। এই মরণফাঁদে তৃতীয় ব্যক্তিরও স্থান নেই। কিন্তু বাইরে কান পাতলেই শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক নিয়ে মজার ছলে বহু কথাই শোনা যায়। সম্পর্কে তিক্ততা আসেই। তবে শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক যদি ভাল থাকে, তাহলে সেই সম্পর্কের চেয়ে ভাল ও মজবুত কিছু হতে পারে না।
বাস্তুতন্ত্র অনুযায়ী মানুষের জীবনে সব কিছুরই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাড়ি বা স্থানের বাস্তু এই গৃহে বসবাসকারীদের জীবনকে প্রভাবিত করে। ভিত বা কক্ষ তৈরির পরিকল্পনা করা সময় ঘর বা অফিসের বাস্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বাস্তুতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ না করলে তা ঠুনকো হয়ে যায়। সবচেয়ে স্পর্শকাতর অথচ সুন্দর সম্পর্ক হল শাশুড়ি আর পুত্রবধূ। শাশুড়ি ও বৌমার সম্পর্ক মা-মেয়ের বন্ধনের সম্পর্ক। বাস্তুমতে, গৃহে শাশুড়ি ও বৌমার বন্ধনকে উন্নত করতে ও মজবুত করতে এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল, তা দেখে নিন একঝলকে…
– পুত্রবধূর অষ্টম এবং দশম ঘরে বসবাসকারী গ্রহকে উত্সর্গীকৃত বীজ মন্ত্রটি জপ করুন।
– উদারভাবে খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিস দান করুন।
– বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের বেদি রাখুন বা বাড়ির মন্দির তৈরি করুন।
– ঘর দুর্গন্ধমুক্ত রাখুন। আপনার হালকা জ্ঞান এবং ধোঁয়া থাকতে পারে।
– ড্রয়িংরুমে একটি ছোট বাঁশের গাছ রাখুন।
– শাশুড়ি এবং পুত্রবধূ রান্নাঘরে একসঙ্গে লাঞ্চ করতে পারেন।
– বাড়ির আঙ্গিনায় ক্যাকটাস গাছ রাখবেন না।
– পরিষ্কার জল ভর্তি মাটির পাত্রে কয়েকটি গোলাপ রেখে ড্রয়িংরুমে রাখুন।
– তর্ক-বিতর্ক এড়াতে একটি গরুকে গুড়- সহ প্রতিদিন তৈরি করা প্রথম রোটি খাওয়াতে পারেন।
– পুত্রবধূকে ছাদের থেকে পাখিদের ভাত বা চাল খেতে দিতে পারেন।
– প্রতিদিন নিয়ম করে শ্রীরামচরিতমানস পাঠ করুন।
– বৌমাকে প্রতিদিন ভগবান কৃষ্ণকে তুলসী নিবেদন করতে হবে।
– প্রতি বৃহস্পতিবার শ্রী বিষ্ণু সহস্রনাম গ্রহণ করতে হবে।