জীবনে সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য মানুষ এখন অনেক কিছু করে থাকেন। তাই অফিস বলুন বা ঘরের ভিতর, সব স্থানেই ঘর সাজানো হচ্ছে বাস্তুর নিয়ম মেনে। বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরে বেশ কিছু জিনিস রাখলে তা শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, এই জিনিসগুলি ঘরে রাখলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। বাড়ির সদস্যদেরও উন্নতি ও সৌভাগ্যও জড়িয়ে রয়েছে এর মধ্যে। তাই অনেকেই লক্ষ্মীর বাহন কিনে বাড়িতে সাজিয়ে রাখেন। অফিসের ডেস্কেও রেখে দেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, পেঁচার কাঠের বা পিতল বা ব্রোঞ্জের মূর্তি রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আবার অনেকে বাড়িতে লক্ষ্মীর বাহনকে রাখতে চান না। তাহলে তিনি ভাগ্যরেখাকে উন্নতি করতে অফিসের ডেস্কে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে পারেন।
পেঁচার মূর্তি রাখার উপকারিতা
শাস্ত্র অনুসারে, পেঁচা হল দেবী লক্ষ্মীর বাহন, বাড়িতে রাখলে ধন-সম্পদের অভাব দূর হয়। ঘরে পেঁচার মূর্তি রাখলে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘরে পেঁচার মূর্তি রাখলে ঘরের বাস্তু দোষও দূর হয়। ঘরে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চালিত হয়।
কোন দিকে রাখবেন
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে পেঁচার মূর্তি সবসময় বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে রাখা উচিত। এই দিকে পেঁচার মূর্তি রাখা শুভ বলে মনে করা হয়।এছাড়াও মনে রাখবেন পেঁচার মুখ যেন বাড়ির মূল ফটকের দিকে থাকে, এতে ঘরে নেতিবাচকতা আসে না এবং খারাপ নজরও পড়ে না।
অফিসেও রাখতে পারেন এই মূর্তি
বাসা ছাড়াও, আপনি আপনার অফিসে একটি পেঁচাও রাখতে পারেন। অফিসে এটিকে রাখলে ইতিবাচকতা আসে এবং নেতিবাচকতা দূর হয় যার ফলে ব্যক্তি উন্নতি করে এবং নতুন সুযোগ পায়।
মূর্তি কেমন হওয়া উচিত
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির একটি পেঁচার মূর্তি ছবির চেয়ে উত্তম। মূর্তি যদি ব্রোঞ্জের হয় তবে তা বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। শুক্রবার বাড়িতে পেঁচার মূর্তি স্থাপন করা উচিত কারণ শুক্রবার দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়।