হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রতি বছর কন্যা সংক্রান্তির দিন পালিত হয় স্থপতির দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো। এ বছর এই বিশেষ পুজো করা হবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর। হিন্দু ক্য়ালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালন করা হলে, এ বছরই তারিখে হয়েছে ব্যতিক্রম ঘটনা। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে, ১৮ সেপ্টেম্বর পালিত হবে বিশ্বকর্মার আরাধনা। বাংলা ছাড়াও এই দেবতার ধুমধাম করে পুজো করা হয় দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। যদিও উত্তর ভারতে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। এদিনে দেবতাদের স্থপতি ভগবান বিশ্বকর্মার বিশেষ আচার মেনে পুজো করার প্রথা রয়েছে।
শিবের ত্রিশূল, রাবণের লঙ্কাপুরী, দ্বারকা শহর, ইন্দ্রপুরী, পুষ্পকরথ, জগন্নাথ পুরী, শিবের ধনুক ও আরও বিভিন্ন কীর্তি, অস্ত্র ও দেব-দেবীর ভবন নির্মাণ হল ভগবান বিশ্বকর্মার দান। কারিগর, আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক, যন্ত্রপাতি ও কারখানার সঙ্গে জড়িতে এদিন মহা আড়ম্বরে বিশকর্মার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। তাই এদিনটিকে বিশ্বকর্মা জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এবারের বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ও গুরুত্ব কী, তা জেনে নিন…
শুভ মুহুর্ত
বিশ্বকর্মা পূজার দিন, শুভ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর , সকাল ৭টা ৫০ মিনিট থএকে বেলা ১২টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত।
দুপুর ১টা ৫৮ মিনিট থেকে বেলা ৩টে ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্বকর্মা পুজো করা যেতে পারে।
তাৎপর্য
“বিশ্বম কৃত্যস্নাম ব্যাপরো বৈ যস্য সহ”। এর অর্থ হল, যার সঠিক সৃষ্টি ব্যবসা, তিনি হলেন বিশ্বকর্মা। প্রাচীনকাল থেকেই ঋষি-সন্ন্যাসীরা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেবের সঙ্গে বিশকর্মার পুজোর বিধান ও রীতি করে গিয়েছেন। বিশ্বকর্মাকে প্রাচীন যুগের প্রথম প্রকৌশলী বা ইঞ্জিনিয়ার বলে মনে করা হয়। বিশ্বকর্মা প্রাচীন শাস্ত্রে বাস্তুশাস্ত্রের জ্ঞান, যন্ত্র নির্মাণ জ্ঞান, বিমান জ্ঞানের প্রতীক। এদিনে শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত নানা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির পুজো করলে সর্বদা সাফল্য মেলে, বাড়ে দক্ষতাও। কারু বা হস্ত শিল্পেরও বিকাশ ঘটে। ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি ধন-সম্পদ বৃদ্ধি ও সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকারও উল্লেখ রয়েছে।