হিন্দু ক্যালেন্ডারের (Hindu Calender) শেষ মাস হল ফাল্গুন। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, মাঘী পূর্ণিমার (Maghi Purnima 2023) পরই শুরু ফাল্গুন মাস। মাঘ মাস শেষ হতে এবার আর বেশ দিন নেই। হিন্দু ধর্মে জানা যায়, ফাল্গুন মাসে (Falgun Month) ভগবান শিব ও শ্রী কৃষ্ণের বিশেষ পুজোর আচার রয়েছে। ধর্মীয়ভাবে ফাল্গুন মাসকে পুজোর জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ফাল্গুন মাস হল চন্দ্রদেবের পুজো উপযুক্ত সময়, শাস্ত্র মতে এই মাসেই জন্ম হয়েছে চন্দ্রের। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, চলতি বছরে ফাল্গুন মাস কবে শুরু হবে ও এর গুরুত্ব কী কী, তা জেনে নিন…
ফাল্গুন মাস ২০২৩
মাঘ মাসের পূর্ণিমা পালিত হবে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিতে। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, পরের দিন, ৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকে ফাল্গুন মাস শুরু হতে চলেছে। চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। আবার প্রকৃতি অনুযায়ী, এ মাস থেকে গ্রীষ্মকাল মানে গ্রীষ্মেরও আগমন। চন্দ্রদোষ থেকে মুক্তি পেতে ফাল্গুন মাসে চন্দ্রদেবের পুজো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
তাৎপর্য
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা পূর্বা ফাল্গুনী নক্ষত্রে থাকায় এর নাম হয়েছে ফাল্গুন। ফাল্গুন মাসেই পালিত হয় শিব ভক্তদের সবচেয়ে বড় উৎসব মহাশিবরাত্রি। পাশাপাশি এই মাসে, শ্রী কৃষ্ণের আরাধনার জন্য দোল উৎসব পালন করা হয়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, এদিনে রাধা-কৃষ্ণ একসঙ্গে হোলি খেলেছেন। এরপর ফাল্গুন পূর্ণিমার দিনে পালিত হয় বর্ণ ও অধর্মের ওপর ধর্মের বিজয়ের উৎসব হোলি। এই বছর হোলিকা দহন ৭ মার্চ ও রঙের হোলি ৮ মার্চ পালিত হবে। সুখ-সমৃদ্ধি, সম্পদ-সমৃদ্ধি ও মানসিক শান্তির জন্য পুরো মাসে চন্দ্রের পুজো করাই উত্তম বলে মনে করা হয়। ফাল্গুন মাসে প্রকৃতির সর্বত্রই উদ্দীপনার যোগাযোগ। এই মাসে আসছে তিজ-উৎসব ইতিবাচক শক্তি ও আনন্দে পূর্ণ।
গুরুত্ব
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, ফাল্গুন মাসে, শ্রী কৃষ্ণকে তিনটি রূপে পূজা করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে শিশু কৃষ্ণ, যুব কৃষ্ণ এবং গুরু কৃষ্ণ। বাল কৃষ্ণের পূজা শিশুদের জন্য শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। প্রেম এবং আনন্দের জন্য তরুণ কৃষ্ণের পুজো করুন। এছাড়া গুরু কৃষ্ণের আরাধনা করলে জ্ঞান ও বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
ফাল্গুনে চন্দ্রদেব পূজার গুরুত্ব
পুরাণ মতে, ভগবান শিবকে চন্দ্রের দেবতা মনে করা হয়। মহাদেবের জটার একপাশেই অবস্থান করেন চন্দ্র। চন্দ্রদেবের আরাধনা করলে স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, প্রেম, সম্মান এবং পারিবারিক সুখ ও শান্তি বজায় থাকে। চন্দ্র হল মনের কারক তাই চন্দ্র যদি কুণ্ডলীতে বিরূপ প্রভাব দেয়, তবে সেই ব্যক্তি মানসিক চাপে ও উত্তেজনায় পরিপূর্ণ থাকে। পাশাপাশি মাতৃস্থানীয়দের শরীর একেবারেই ভালো যায় না। ফাল্গুন মাসে চন্দ্রের পুজো করলে জন্মকুণ্ডলীর চন্দ্র দোষও দূর করা যায়।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)