‘বসন পরো মা’ ভক্তের কাতর আবেদন মহাশক্তি মহামায়া দেবী কালিকার কাছে। তবু তিনি উলঙ্গনী। মুক্তকেশী মা কেন দিগম্বরী? জানেন কী বলছে শাস্ত্র?
দেবী কালিকার অনেক রূপ। কখনও তিনি ভদ্রকালী, কখনও তিনি সিদ্ধকালী, আবার কখনও তিনি সিদ্ধেশ্বরী তো কখনও তিনি ভবতারিণী। তবে বাংলায় প্রধানত দেবী পূজিত হন দক্ষিণাকালী রূপেই। তাঁর এক হাতে থাকে খড়্গ, এক হাতে নরমুণ্ড, এক হাত থাকে অভয় মুদ্রায় এবং অন্য হাত থাকে বরাভয় মুদ্রায়। দেবীর গলায় থাকে মুণ্ডমালা, পদতলে বিরাজমান স্বয়ং মহাদেব। তবে দেবী নগ্ন, বসনহীনা!
দেবী কেন নগ্ন, কেবল শশ্মানবাসিনী, উগ্রচণ্ডা বলে? শাস্ত্র মতে কিন্তু এর অন্য ব্যাখ্যা রয়েছে। দেবী কালিকাকে আদিশক্তি মহামায়ার প্রথম রূপ হিসাবে গণ্য করা হয়। মনে করা হয় তিনি সময়ের থেকেও উচ্চতর। কালের সীমানা পার করেছেন দেবী। তাই যিনি অনন্ত যিনি জগতকে জয় করেছেন তাঁকে কোনও দিনও বস্ত্রের আবরণে আবৃত করা যায় না।
কেউ কেউ বলেন, কালী হলেন শক্তির প্রতীক। কালীর দিগম্বর রূপ সৃষ্টির, স্থিতি ও প্রলয়ের প্রতীক। কেউ বলেন দেবীর যোনিদেশ সৃষ্টির প্রতীক, স্তনদ্বয় স্থিতি এবং উন্মুক্ত জিভ প্রলয়ের প্রতীক। এ হেন শক্তিকে কোনও কিছু দ্বারাই আবৃত করে রাখা যায় না। তাই নগ্ন রূপেই ধরা দেন দেবী কালিকা।