Veg Diet Significance: উপবাসের সময় নিরামিষ খাবার খাওয়া হয় কেন? জীবন বদলে দেওয়ার সহজ উপায়ের গুরুত্ব জানুন
Fasting Rules: উপবাস মানেই সারাদিন জলস্পর্শ নয়, খাবার খাওয়া নয়, সংযমের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করা। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও এই উপবাস যথেষ্ট শক্তি সরবরাহ করে। অর্থাত্ খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয় তাতে মনকে বিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। হিন্দু ধর্মে উপবাসের গুরুত্ব অপরিসীম।

নিয়ম মেনে কেউ মঙ্গলবার নিরামিষ খান, কেউ আবার বৃহস্পতিবার, কেউ আবার শনিবার মাছ-মাংস খান না। এমনকি পেঁয়াজ-রসুন পর্যন্তও ছুঁয়ে দেখেন না। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা সারা বছর শুধু নিরামিষ খাবার খেয়ে থাকেন। হিন্দুধর্মে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের উপবাস করার কথা উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুমতে উপবাস মূলত তিন প্রকার। স্বল্পানশন, অর্ধানশন ও পূর্ণানশন। পূর্ণানশন বলতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সব ধরনের খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকাকে বোঝায়। এছাড়া অন্যান্য প্রকারের উপবাসে উপবাসকালীন সময়ে নির্দিষ্ট কিছু খাবার খাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে বা বাড়ির কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে অনেকেই উপবাস রাখেন। বর্তমানে উপবাস একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আগেকার দিনে মানুষ উপবাস রাখতেন নিষ্ঠাভরে। পালন করা হত শুদ্ধতা ও পবিত্রতার সঙ্গে। এমনকি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ভারসাম্য ও সামঞ্জস্য বজায় রাখার অন্যতম কৌশল বলেও মনে করা হত।
তবে উপবাস মানেই সারাদিন জলস্পর্শ নয়, খাবার খাওয়া নয়, সংযমের সঙ্গে খাবার গ্রহণ করা। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও এই উপবাস যথেষ্ট শক্তি সরবরাহ করে। অর্থাত্ খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয় তাতে মনকে বিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে। হিন্দু ধর্মে উপবাসের গুরুত্ব অপরিসীম। সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করার পরিকল্পনা করলে তার কিছু উপকারিতা ও নিয়ম রয়েছে। উল্লেখ্য উপবাস রাখা হলে, সেই সময় সময় শুদ্ধ থাকা খুবই জরুরি। নাহলে উপোসের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়। উপবাসের সময় কোন জিনিস খাওয়া উচিত আর কোন জিনিস খাওয়া উচিত নয়, তা জেনে নিন…
উপবাসে কেন সাত্ত্বিক বা নিরামিষ খাবার খাওয়া হয়?
উপবাসে সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণ করা হলে পবিত্রতা, ভারসাম্য ও সম্প্রীতি বজায় থাকে। এছাড়া সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্যও যথেষ্ট শক্তি সরবরাহ করে। নিরামিষ খাবারকে হিন্দুধর্মমতে সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয়। মনকে শুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে, আধ্যাত্মিক অনুশীলনের পাশাপাশি ধ্যানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশুদ্ধ খাদ্য
সাত্ত্বিক খাবারের মধ্যে রয়েছে ফল, দুগ্ধজাত খাবার, শুকনো ফল, সাবু,আটার রুটি, আলু, চিনাবাদাম, মিষ্টি ইত্যাদি। ভাজা খাবার একেবারেই খাবেন না।
আমিষ খাবার
তামসিক বা আমিষ খাদ্যের মধ্যে রয়েছে রসুন, পেঁয়াজ, মাংস, মশলাদার ও বাসি খাবার। হিন্দুধর্মমতে, আমিষ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে জড়তা, বিভ্রান্তি অনুভূতি তৈরি হয়। একই সময়ে, ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে দুর্বলও হয়ে পড়ে।
