রুটি-সবজি হল ভারতীয়দের অন্যতম জনপ্রিয় খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ বা ডিনার, আটা, যব বা ময়দার রুটি সবসময়ের জন্যই ফেভারিট। অনেকেই হয়তো জানেন না বা লক্ষ্য করেননি কখনও যে পাতে কখনও তিনটি রুটি একসঙ্গে দেওয়া হয় না। অনেক ভারতীয় পরিবারে সবসময়ই বিশ্বাস করা হয় যে খাবার খাওয়ার সময় প্লেটে তিনটি রুটি কখনওই পরিবেশন করা উচিত নয়। এমনকি মা যদি বাচ্চাদের তিনটি রুটি নিতে দেখেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা নিতে নিষেধ করেন। শুধু রুটিই নয়, পরোটা, পুরি বা চিলা ইত্যাদিও একসঙ্গে পরিবেশন করা হয় না। খাবারে একসঙ্গে তিনটি রুটি না খাওয়ার সঙ্গে কিছু বিশ্বাস জড়িয়ে রয়েছে, যার ভিত্তিতে তিনটি রুটি কখনওই পরিবেশন ও খাওয়া উচিত নয়।
তিন রুটি না খাওয়ার কারণ
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, ধর্মীয় কাজে তিনটি সংখ্যা শুভ বলে মনে করা হয় না। অন্যদিকে বিশ্বাস অনুসারে, সাধারণ জীবনেও তিনকে দূরে রাখা উচিত, যাতে এর খারাপ প্রভাব বিনষ্ট হয়।
এমনও বিশ্বাস করা হয় যে মৃত ব্যক্তির নামে রাখা খাবারের প্লেটে তিনটি রুটি রাখা হয়, যার কারণে জীবিতের প্লেটে তিনটি রুটি রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। এই কারণেই পরিবারের সদস্যরা প্লেটে যত রুটি বা লুচি পরিবেশন করুক না কেন, কিন্তু তিনটি পরিবেশন কখনও করেন না।
হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে, খাবারে একসঙ্গে তিনটি রুটি খাওয়া উচিত নয় কারণ দুটি রুটি খাওয়াই শরীরের ওজন সমান ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে যথেষ্ট। এক বাটি ডাল, ৫০ গ্রাম ভাত, দুটি রুটি এবং এক বাটি সবজি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর বলে মনে করা হয়।
রুটি ছাড়াও ভারতীয় পরিবারে খাবারের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেক কিছু বলা হয়ে থাকে। এই সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস যা বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন কারণে অনুসরণ করা হয়ে আসছে। তবে তিন রুটি না খাওয়ার মত বিশ্বাস শত শত বছর ধরে অন্ধভাবে অনুসরণ করা হয়ে আসছে, কিন্তু এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)