World Coconut Day 2023: হিন্দুধর্মে নারকেলের গুরুত্ব রয়েছে অনেকটা, কোন প্রতিকারে কী ফল, জানুন
Hindu Religion: নয়া কাজের সূচনা মুহূর্তে বা বিবাহ, পুজোকর্ম, সব কাজেই নারকেলের ব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও নারকেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

স্বাস্থ্যের দিক থেকে নারকেলের জল অত্যন্ত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। শুধু স্বাস্থ্যের দিক থেকেই নয়, হিন্দু ধর্মেও নারকেলের বড় ভূমিকা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্রে নারকেলকে শ্রীফলও বলা হয়। পুজোপার্বণ, বিশেষ আচার বা শুভ কোনও কাজে এই নারকেলের ব্যবহার অপরিসীম। নয়া কাজের সূচনা মুহূর্তে বা বিবাহ, পুজোকর্ম, সব কাজেই নারকেলের ব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও নারকেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
ইতিহাস
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়। এ দিনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় নারকেল সম্প্রদায়ের দ্বারা উত্সাহের সঙ্গে পালন করা হয়। নারকেল দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্বে নারকেল চাষ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা। ‘নারকেল’ পর্তুগিজ শব্দ ‘কোকো’ ও ‘আখরোট’ দিয়ে তৈরি। ইন্দোনেশিয়ার পরে, ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম নারকেল রপ্তানিকারক দেশ।
তাৎপর্য
ভারতীয় ধর্মীয় সংস্কৃতিতে নারকেলের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হিন্দু ধর্মে একে ‘শ্রীফল’ও বলা হয়। হিন্দু ধর্মে, পুজোর সময় নারকেল নিবেদন বা ভাঙার একটি রীতি রয়েছে। পূজার উপকরণ হিসেবে নারকেলের ব্যবহার করা হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু যখন মর্ত্য়ে এসেছিলেন, তখন তিনি দেবী লক্ষ্মী ও কামধেনু গরুর সঙ্গে নারকেল নিয়ে এসেছিলেন। তাই নারকেল গাছকে ‘কল্পবৃক্ষ’ বলা হয়। কথিত আছে নারকেলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ ত্রিমূর্তি বাস করেন।
আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, বিশ্বামিত্র মানবরূপে নারকেল প্রস্তুত করেছিলেন। একবার বিশ্বামিত্র ইন্দ্রদেবের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে অন্য স্বর্গের সৃষ্টি শুরু করার কথা বলেন। দ্বিতীয় সৃষ্টি করার সময় মানুষের আকারে নারকেল সৃষ্টি করেন। তাই নারকেলের খোসার বাইরের দিকে দুটি চোখ ও একটি মুখ রয়েছে।
নারকেল প্রতিকার
হিন্দু ধর্মেও নারকেল সম্পর্কিত অনেক প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি মেনে চললে পারিবারিক, আর্থিক ও দাম্পত্য জীবনে সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই প্রতিকারগুলি কী কী , তা জেনে নিন এখানে…
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে: জুঁই তেলে সিঁদুর মিশিয়ে নারকেলের উপর স্বস্তিক চিহ্ন তৈরি করুন। এরপরে, হনুমানজির চরণে অর্পণ করুন ও ঋণ মোচনের জন্য মঙ্গল স্তোত্র পাঠ করুন। এই প্রতিকার পালন করলে দ্রুততার সঙ্গে উপকার পেতে পারেন ও ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ব্যবসায় অগ্রগতির জন্য: যদি ব্যবসায় ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হন তবে বৃহস্পতিবার একটি ১.২৫ মিটার হলুদ কাপড়ে একটি নারকেল মুড়ে রেখে দিন। এক জোড়া পবিত্র সুতো, ১.২৫ মিষ্টি বা ভোগ-সহ ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে একটি নিবেদন করুন। এ কারণে স্থবির ব্যবসায় দারুণ লাভ হতে পারে।
আর্থিক সুবিধার জন্য: আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন, অর্থ জমা হয় না বা সর্বদা অর্থের অভাব হয়, তবে এর জন্য আপনি শুক্রবার একটি নারকেল, গোলাপ ফুল, পদ্ম ফুলের মালা, ১.২৫ মিটার গোলাপী, সাদা কাপড় পরতে পারেন। জুঁই, দই, সাদা ভোগ ও এক জোড়া পবিত্র সুতো-সহ দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে পারেন। এরপর ঘি প্রদীপ ও কর্পূর দিয়ে দেবী লক্ষ্মীর আরতি করুন, শ্রীকণকধারা স্তোত্র পাঠ করুন। এই প্রতিকার করলে আর্থিক সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়া যায়।
