আয় করাটা অত্যন্ত জরুরি। তবে তার থেকেও জরুরি সঞ্চয় করা। বিশেষত প্রয়োজনের সময় টাকা না পেলে বিপদে পড়তে হয় মানুষকে। আর শেষ বয়সের জন্য সঞ্চয় করা তো অতি আবশ্যিক। যে সব উপায়ে সঞ্চয় করা যায়, টাকা দিয়েই টাকা বাড়ানো যায়, তাকেই বলা হয় ‘পার্সোনাল ফিনান্স’। একটা সময়ের পর যাতে হাতে প্রয়োজন মেটানোর যথেষ্ট টাকা থাকে, সেইটুকু পরিকল্পনা প্রত্যেক মানুষেরই করা দরকার।
যে সব উপায়ে টাকা জমানো যায়…
কথায় বলে, অনেক সমস্যারই সমাধান হল টাকা। তাই এমার্জেন্সি ফান্ড তৈরি করাটা অত্যন্ত জরুরি। তার জন্য ব্যাঙ্কে টাকা জমানো দরকার। যাঁরা উপার্জনক্ষম, তাঁদের ব্যাঙ্কে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা রাখা উচিত। প্রতি মাসে একটু একটু করে টাকা জমালে বাড়বে সঞ্চয়। প্রয়োজন ছাড়া যাতে সেই টাকা তোলা না হয়, সেটা মাথায় রেখে টাকা জমাতে হবে।
অনেকেই গাড়ি বা বাড়ির জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। দীর্ঘ সময় ধরে সুদ সহ সেই টাকা মেটাতে হয়। আর কোনও মাসে টাকা শোধ না করলে, সুদের অঙ্ক বেড়ে যায়। তাই এমন ব্যবস্থা করা উচিত যাতে অ্যাকাউন্ট থেকে আপনা-আপনি টাকা কেটে নেয় সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আবার বছরের শুরুতেই যাতে ইএমআই-এর টাকা কেটে নেয়, সেই ব্যবস্থাও করা যায়। সে ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর যেমন ভাল হয়, তেমনই কমে সুদের অঙ্ক।
অবসরের পর যাতে টাকা নিয়ে সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই ব্যবস্থা করে রাখা প্রয়োজন। আপনি যদি চাকরিজীবী হন, আর আপনার পিএফ অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা জমান। সে ক্ষেত্রে সাধারণভাবে পিএফে যে টাকা জমা পড়ে, তার থেকে বেশি টাকা জমা করা যায়। আর যদি আপনার পিএফে টাকা জমানোর উপায় না থাকে, তাহলে পিপিএফ, ইএলএসএস, মিউচুয়াল ফান্ডে বেতনের টাকার কিছুটা অংশ জমিয়ে রাখুন।
শেয়ারে সব সময়েই বেশি টাকা ফেরত পাওয়া যায়। বেশিদিন ধরে বিনিয়োগ করলে ফল পাওয়া যায় হাতে নাতে। ব্যাঙ্কে করা এফডি বা আরডি-র থেকে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। তবে স্টক মার্কেটে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে বিচক্ষণতার সঙ্গে। ভালভাবে জেনেশুনে তবেই বিনিয়োগ করুন।
নিজেকে ও নিজের পরিবারকে ভাল রাখার জন্য বীমা পলিসিতে টাকা বিনিয়োগ করা দরকার। যে কোনও বিপদ যাতে সামাল দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন। যত কম বয়সে সম্ভব, পলিসি করে রাখা প্রয়োজন। তাতে বয়স বাড়লে চিকিৎসার খরচ কিছুটা কমানো যায়।