ইলেকট্রিক মোটরবাইকের দুনিয়ায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে ভারতীয় সংস্থার হাত ধরে। ওই সংস্থা তৈরি করেছে উচ্চ মানের, উচ্চ গতি সম্পন্ন ইলেকট্রিক বাইক। যা শুধু দেশ নয়, বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থার বাইককে কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেবে। উচ্চ গতির ইলেকট্রিক বাইকের নাম এফ৭৭ মাক২ (F77 Mach2)। আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল (Ultraviolette Automotive) নামের ভারতীয় সংস্থা এই ই-বাইক তৈরি করেছে। এই বাইক তৈরি হয়েছে উচ্চমানের আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে। যার জেরে এই বাইকে আছে অনন্য কিছু ফিচার। এর জেরেই বাজার চলতি বাইকের তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে এফ৭৭ মাক২।
ভারতীয় সংস্থার এই ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে অ্যালেক্স হিরশ্চিকে। অ্যালেক্স একজন ইউটিউবার। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘সুপারকার ব্লন্ডি’। এই নামেই অ্যালেক্স নেটদুনিয়ায় পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চমানের বাইক, গাড়ির রিভিউ করেন তিনি। এফ৭৭ মাক২ নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো করেছেন। এই বাইকের কর্মদক্ষতা এবং বৈশিষ্ট্য তাঁকে যে মুগ্ধ করেছে, তা নিজের ভিডিয়োয় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সুপরাকার ব্লন্ডির ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি। ইনস্টাগ্রামে তাঁকে ফলো করেন ১ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি। ফেরারি, ল্যাম্বর্গিনির মতো বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার গাড়ি তাঁর ভিডিয়োয় বেশি ঠাঁই পায়। এহেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও ভারতীয় এই গাড়ি নিয়ে নিজের উন্মাদনা গোপন করেননি। যা এই গাড়ির গুরুত্ব যেন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আল্ট্রাভায়োলেটের তৈরি এফ৭৭ মাক ২ ইলেকট্রিক বাইকের গতি অনন্য উপায়ে পরীক্ষা করেছেন সুপারকার ব্লন্ডি। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এয়ারস্ট্রিপে আরসি জেটের সঙ্গে গতির প্রতিযোগিতা হচ্ছে এফ ৭৭ মাক ২-এর। সেই প্রতিযোগিতার ফল দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন উচ্চমানের গাড়ি নিয়ে নাড়াঘাটা করা সুপারকার ব্লন্ডি। সেই প্রতিযোগিতার ফল কী হয়েছে জানেন? কম সময়ে দ্রুতগতিতে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আরসি জেটও হেরে গিয়েছে ভারতীয় এই ইলেকট্রিক বাইকের কাছে। মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৌঁছতে সক্ষম এফ৭৭ মাক২। এই গতি দেখেই মনে করা হচ্ছে, কাওয়াসাকি, ডুকাটি, ইয়ামাহার মতো বাইকের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে এই বাইক।
অল্প সময়ে বেশি গতি এই বাইকের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য, কিন্তু তা একমাত্র নয়। ভবিষ্যতের বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ঠাসা এই বাইক সবদিক থেকেই এগিয়ে। এর ডায়নামিক রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেমে এনার্জি রিকোভারি প্রযুক্তিও রয়েছে। যা সাধারণত ফর্মুলা ১ রেসের গাড়িতে থাকে। সেই প্রযুক্তি এই বাইকে ব্যবহৃত হয়েছে। এর পাশাপাশি সুইচেবল ট্রাকশন কন্ট্রোল রয়েছে এফ৭৭ মাক২-এ। এই বাইকেই বিভিন্ন তথ্য ডিজিটালি মজুত করা যাবে। বিভিন্ন রকম প্রয়োজনে রাইডিং মোডেরও বিভিন্নতা রয়েছে এফ৭৭ মাক ২ বাইকে। দুবাইয়ে ডিপ ড্রাইভ পুলে ২০ মিটার জলের তলায় নামানো হয়েছিল এই বাইক। এই সবই বুঝিয়ে দেয় আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইলের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।
আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণ সুব্রহ্মমানিয়ম এবং নীরজ রাজমোহন। তার পরই থেকেই ইলেকট্রিক বাইকের দুনিয়ায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এই সংস্থা। ইলেকট্রিক বাইকের ডিজাইন, পারফরম্যান্সে দ্রত উন্নতি করছে সংস্থাটি। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরিতে ভারত যখন দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে, সেই লক্ষ্যপূরণেও অবদান রাখছে এই অটোমোবাইল সংস্থা। উন্নত অটোমোটিভ প্রযুক্তির ব্যবহারও এই সংস্থার বাইককে আরও বিশেষ করে তুলছে।
এফ৭৭ মাক২-এর হাত ধরে ইউরোপের বাজারে পা রাখতে চলেছে আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল। এক চমৎকৃত ডিজাইন, আধুনিক প্রযুক্তি, টানটান পারফরম্যান্স দিয়ে এফ৭৭ মাক২ কেবল বাইক হিসাবেই সীমাবদ্ধ নেই, তা ভারতের উদ্ভাবনী এবং উৎকর্ষতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে।
ইলেকট্রিক মোটরবাইকের দুনিয়ায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে ভারতীয় সংস্থার হাত ধরে। ওই সংস্থা তৈরি করেছে উচ্চ মানের, উচ্চ গতি সম্পন্ন ইলেকট্রিক বাইক। যা শুধু দেশ নয়, বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থার বাইককে কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠেলে দেবে। উচ্চ গতির ইলেকট্রিক বাইকের নাম এফ৭৭ মাক২ (F77 Mach2)। আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল (Ultraviolette Automotive) নামের ভারতীয় সংস্থা এই ই-বাইক তৈরি করেছে। এই বাইক তৈরি হয়েছে উচ্চমানের আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে। যার জেরে এই বাইকে আছে অনন্য কিছু ফিচার। এর জেরেই বাজার চলতি বাইকের তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে এফ৭৭ মাক২।
ভারতীয় সংস্থার এই ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে অ্যালেক্স হিরশ্চিকে। অ্যালেক্স একজন ইউটিউবার। তাঁর চ্যানেলের নাম ‘সুপারকার ব্লন্ডি’। এই নামেই অ্যালেক্স নেটদুনিয়ায় পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চমানের বাইক, গাড়ির রিভিউ করেন তিনি। এফ৭৭ মাক২ নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়ো করেছেন। এই বাইকের কর্মদক্ষতা এবং বৈশিষ্ট্য তাঁকে যে মুগ্ধ করেছে, তা নিজের ভিডিয়োয় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সুপরাকার ব্লন্ডির ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ১ কোটি ৬০ লক্ষের বেশি। ইনস্টাগ্রামে তাঁকে ফলো করেন ১ কোটি ৮০ লক্ষের বেশি। ফেরারি, ল্যাম্বর্গিনির মতো বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার গাড়ি তাঁর ভিডিয়োয় বেশি ঠাঁই পায়। এহেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বও ভারতীয় এই গাড়ি নিয়ে নিজের উন্মাদনা গোপন করেননি। যা এই গাড়ির গুরুত্ব যেন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
আল্ট্রাভায়োলেটের তৈরি এফ৭৭ মাক ২ ইলেকট্রিক বাইকের গতি অনন্য উপায়ে পরীক্ষা করেছেন সুপারকার ব্লন্ডি। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এয়ারস্ট্রিপে আরসি জেটের সঙ্গে গতির প্রতিযোগিতা হচ্ছে এফ ৭৭ মাক ২-এর। সেই প্রতিযোগিতার ফল দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছেন উচ্চমানের গাড়ি নিয়ে নাড়াঘাটা করা সুপারকার ব্লন্ডি। সেই প্রতিযোগিতার ফল কী হয়েছে জানেন? কম সময়ে দ্রুতগতিতে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে আরসি জেটও হেরে গিয়েছে ভারতীয় এই ইলেকট্রিক বাইকের কাছে। মাত্র ২.৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৌঁছতে সক্ষম এফ৭৭ মাক২। এই গতি দেখেই মনে করা হচ্ছে, কাওয়াসাকি, ডুকাটি, ইয়ামাহার মতো বাইকের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে এই বাইক।
অল্প সময়ে বেশি গতি এই বাইকের অনন্য একটি বৈশিষ্ট্য, কিন্তু তা একমাত্র নয়। ভবিষ্যতের বিভিন্ন প্রযুক্তিতে ঠাসা এই বাইক সবদিক থেকেই এগিয়ে। এর ডায়নামিক রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেমে এনার্জি রিকোভারি প্রযুক্তিও রয়েছে। যা সাধারণত ফর্মুলা ১ রেসের গাড়িতে থাকে। সেই প্রযুক্তি এই বাইকে ব্যবহৃত হয়েছে। এর পাশাপাশি সুইচেবল ট্রাকশন কন্ট্রোল রয়েছে এফ৭৭ মাক২-এ। এই বাইকেই বিভিন্ন তথ্য ডিজিটালি মজুত করা যাবে। বিভিন্ন রকম প্রয়োজনে রাইডিং মোডেরও বিভিন্নতা রয়েছে এফ৭৭ মাক ২ বাইকে। দুবাইয়ে ডিপ ড্রাইভ পুলে ২০ মিটার জলের তলায় নামানো হয়েছিল এই বাইক। এই সবই বুঝিয়ে দেয় আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইলের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।
আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নারায়ণ সুব্রহ্মমানিয়ম এবং নীরজ রাজমোহন। তার পরই থেকেই ইলেকট্রিক বাইকের দুনিয়ায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এই সংস্থা। ইলেকট্রিক বাইকের ডিজাইন, পারফরম্যান্সে দ্রত উন্নতি করছে সংস্থাটি। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল তৈরিতে ভারত যখন দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে, সেই লক্ষ্যপূরণেও অবদান রাখছে এই অটোমোবাইল সংস্থা। উন্নত অটোমোটিভ প্রযুক্তির ব্যবহারও এই সংস্থার বাইককে আরও বিশেষ করে তুলছে।
এফ৭৭ মাক২-এর হাত ধরে ইউরোপের বাজারে পা রাখতে চলেছে আল্ট্রাভায়োলেট অটোমোবাইল। এক চমৎকৃত ডিজাইন, আধুনিক প্রযুক্তি, টানটান পারফরম্যান্স দিয়ে এফ৭৭ মাক২ কেবল বাইক হিসাবেই সীমাবদ্ধ নেই, তা ভারতের উদ্ভাবনী এবং উৎকর্ষতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে।