Buyback: বাইব্যাক থেকে আয় করবেন কীভাবে? শেয়ার বাইব্যাকের বিষয়ে জেনে রাখুন এই তথ্য
Buyback: আইপিও-র ঠিক বিপরীত হল এই বাইব্যাক। আইপিওতে কোনও সংস্থা জনগণের সামনে তাদের শেয়ার প্রকাশ করে। বাইব্যাকের ক্ষেত্রে সংস্থা তার শেয়ারহোল্ডারের কাছে থেকে তাদেরই শেয়ার পুনরায় কিনে নয়।
আপনি যদি শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয় বাইব্যাক শব্দটির সঙ্গে আপনি পরিচিত। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন এখান থেকে আপনি কীভাবে রিটার্ন পেতে পারেন। না জানা থাকলে বাইব্যাকের খুঁটিনাটি সম্বন্ধে জেনে নিন।
বাইব্যাক: বাইব্যাক আর কিছুই নয়। আইপিও-র ঠিক বিপরীত হল এই বাইব্যাক। আইপিওতে কোনও সংস্থা জনগণের সামনে তাদের শেয়ার প্রকাশ করে। বাইব্যাকের ক্ষেত্রে সংস্থা তার শেয়ারহোল্ডারের কাছে থেকে তাদেরই শেয়ার পুনরায় কিনে নয়।
বাইব্যাকের ধরন: দুটি পদ্ধতিতে কোনও সংস্থা নিজেদের শেয়ার পুনরায় কিনে নেয়। একটি টেন্ডার অফার ও অন্যটি খোলা বাজারের মাধ্যমে। টেন্ডার অফারের ক্ষেত্রে কোনও সংস্থা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আনুপাতিক ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে তার শেয়ার পুনরায় কিনে নেয়।
অন্যদিকে কোনও খোলা বাজার থেকে শেয়ার বাইব্যাকের ক্ষেত্রে, একটি সংস্থা অর্ডার ম্যাচিং মেকানিজমের মাধ্যমে দেশব্যাপী ট্রেডিং টার্মিনাল থাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শেয়ার কিনে নেয়।
বাইব্যাক অফার প্রাইস (Buyback Offer Price): যে দামে কোনও সংস্থা টেন্ডার অফার রুটের মাধ্যমে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে তাদের শেয়ার কিনে নিতে ইচ্ছুক থাকে সেটাই হল বাইব্যাক অফার প্রাইস। 5Paisa-র মতো প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মেরগুলির সাহায্যে নিয়ে জানতে পারেন কোন সংস্থাগুলি বাইব্যাক শেয়ার অফার করছে। এক্ষেত্রে নিজের যাত্রা শুরু করতে যেসব তথ্যের প্রয়োজন তা সব 5Paisa-র মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি পেতে পারেন।
শেয়ার বাজারে যে দামে শেয়ারগুলি বিক্রি হয়ে থাকে বাইব্যাকের ক্ষেত্রে তার দাম সাধারণত সেই দামের থেকে বেশি থাকে। আর খোলা বাজারে কোনও সংস্থার বাইব্যাক মূল্য অফার প্রাইসে শেয়ারের দামের মধ্যেই হয়। তার বেশি বা কম হয় না।
খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষণ বা রিটেইল ইনভেস্টর রিজার্ভেশন (Retail Investor Reservation): বাইব্যাক অফারে রেকর্ড ডেটে দ্য সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (The Securities and Exchange Board of India or SEBI)-র তরফে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে।
এনটাইটেলমেন্ট রেশিও (Entitlement Ratio): বাইব্যাকে কোনও খুচরো বিনিয়োগকারী যত সংখ্যক শেয়ার অফার করেছেন এবং সামগ্রিক খুচরো বিনিয়োগকারী ক্যাটেগরির মধ্যে মোট যত সংখ্যক শেয়ার রয়েছে তার অনুপাত হল এনটাইটেলমেন্ট রেশিও।
অ্য়াকসেপটেন্স রেশিও (Acceptance Ratio): বাইব্যাক অফারে যে পরিমাণ শেয়ার গ্রহণ করা হবে ও তার তুলনায় যে পরিমাণ মোট শেয়ার টেন্ডার করা হয়েছিল তার অনুপাত হল অ্য়াকসেপটেন্ট রেশিও।
টাকা উপার্জন (Money Making): বিদ্যমান শেয়ার বিক্রির করার জন্য বাইব্যাকের সুযোগ ব্যবহার করতে পারেন খুচরো বিনিয়োগকারীরা। এবং তার পরিবর্তে অফার করা দামের থেকে কম দামে ট্রেডিং হওয়া নয়া শেয়ার কেনা যেতে পারে। অফারে যত বেশি শেয়ার গৃহীত হবে তত বেশি মুনাফা হবে বিনিয়োগকারীদের।
গুরুত্বপূর্ণ দিন: টেন্ডারের অফারের মাধ্যমে বাইব্যাকে অংশ নেওয়ার জন্য সংস্থার তরফে বাইব্যাকের ঘোষণার সময় রেকর্ড ডেট নির্ধারণের আগে সেই সংস্থার শেয়ার থাকতে হবে বিনিয়োগকারীর কাছে। এবং শেয়ারগুলিকে ডিম্যাট অবস্থায় থাকতে হবে।