BOA Election: বিওএ নির্বাচন যেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা-ভাইয়ের ছায়াযুদ্ধ! পর্দার আড়ালে কারা?

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 26, 2024 | 10:03 PM

শুক্রবার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। 'ভাই'কে সরানোর লড়াইয়ে পর্দার আড়াল থেকে খেলছেন দাদা-দিদি! প্যারিস অলিম্পিকে রাজ্য থেকে কেউ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। এমনকি সরকারের আর্থিক অনুদান থেকেও বঞ্চিত বিওএ। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার শতবর্ষও পালন করা হয়নি।

BOA Election: বিওএ নির্বাচন যেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা-ভাইয়ের ছায়াযুদ্ধ! পর্দার আড়ালে কারা?
BOA Election: বিওএ নির্বাচন যেন মুখ্যমন্ত্রীর দাদা-ভাইয়ের ছায়াযুদ্ধ! পর্দার আড়ালে কারা?

Follow Us

কলকাতা: জমজমাট বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচন। কয়েকদিন আগেই টিভি নাইন বাংলার একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ হয়েছিল বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বনাম ক্রীড়ামন্ত্রীর সংঘাতের খবর। ময়দান অন্তত তেমনটাই বলছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বাবুনের (স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়) বিরোধী শিবিরের হয়ে লড়ছেন বিশ্বরূপ দে। তিনি নিজেই একপ্রকার সে কথা স্বীকার করেছেন। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থায় স্বচ্ছতা আনার কথা শোনা যাচ্ছে বিরোধী শিবিরের গলায়। বিশ্বরূপ দে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া তিনি কোনও কাজ করেন না। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনেও তিনি লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনেই। বিশ্বরূপের মুখে শোনা যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী জানেন কোন রেসিপি কোথায় দিতে হয়। ময়দানে জোর প্রশ্ন, বাবুনকে সরাতে হঠাৎ কেন উদ্যোগী খোদ মুখ্যমন্ত্রী?

বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার এই নির্বাচন ঘিরে একাধিক দ্বৈরথের কথা সামনে আসছে। কেউ বলছেন, দাদা বনাম ভাইয়ের ছায়াযুদ্ধ। নির্বাচন কমিশনার অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও, আড়াল থেকে ভাই বাবুনকে সরানোর ছক কষছেন দাদা অজিত। চার বছর আগে প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে দাদাকে হারিয়েই জিতেছিলেন ভাই বাবুন। শোনা যায়, দাদা-ভাইয়ের সেই দ্বৈরথ ভালো ভাবে মেনে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন স্বপন। যে ঘটনার পর ভাইকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন দিদি। ভাইয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের রাগের প্রভাবই কি তাহলে বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচনে পড়ছে? একাংশের দাবি, ক্রীড়ামন্ত্রীও চাইছেন না প্রেসিডেন্ট বাবুনকে। বিওএ নির্বাচনে তাই শক্তিশালী প্যানেলই দাঁড় করাচ্ছে বিরোধী শিবির।

৩৬টি অ্যাসোসিয়েশন, ৬৮ ভোট। ম্যাজিক ফিগার ৩৫। প্রেসিডেন্ট পদে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী চন্দন রায়চৌধুরী। সচিব পদে জহর দাসের সঙ্গে লড়ছেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়। বিওএ সচিব পদে থাকা জহর এই নির্বাচনের ফ্যাক্টর। বেশ কয়েকটি সংস্থার ভোট রয়েছে ময়দানের পোড় খাওয়া এই কর্তার হাতে। দিন কয়েক আগে জহরকে পাশে বসিয়ে বাবুন বলেছিলেন, ‘আমাদের ক্যান্ডিডেট।’ কিন্তু জহর আদতে কার? ময়দানের একটি সূত্র বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে বিরোধী শিবিরের প্রেসিডেন্ট চন্দন রায়চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন জহর।

ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ১১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য নাম, বিশ্বরূপ দে, কমলেশ চট্টোপাধ্যায়, রামানুজ মুখোপাধ্যায়, রূপেশ কর, গৌতম সিনহা। এখান থেকে ৭ জন নির্বাচিত হবেন। সহ সচিব পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৮ জন। নির্বাচিত হবেন ৪ জন। কোষাধ্যক্ষ পদে কমল মৈত্র ছাড়া আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি।

শুক্রবার হাইভোল্টেজ নির্বাচন। ‘ভাই’কে সরানোর লড়াইয়ে পর্দার আড়াল থেকে খেলছেন দাদা-দিদি! প্যারিস অলিম্পিকে রাজ্য থেকে কেউ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। এমনকি সরকারের আর্থিক অনুদান থেকেও বঞ্চিত বিওএ। বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার শতবর্ষও পালন করা হয়নি। এই তিনটি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। বাবুন ময়দানের পোড় খাওয়া কর্তা। তাঁকে সরাতে বিরোধী শিবির যে জোটবদ্ধ হয়ে ময়দানে নেমেছেন তা তিনি ভালোই জানেন। তবে এই লড়াইয়ে ‘পরিবার’ও যে তাঁর বিপরীত মেরুতে!

শুক্রবারের হাইভোল্টেজ নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কোন শিবিরের মুখে হাসি ফোটে, সেদিকেই তাকিয়ে ময়দান।

Next Article