বার্মিংহ্যাম : যা হতে চেয়েছিলেন, তা হতে পারেননি। তাতেও কিছু যায় আসে না। কমনওয়েলথ গেমসে টানা দ্বিতীয়বার পদক। সেটাই আসল। গুরুরাজা পূজারী। এবারের কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে দ্বিতীয় পদক এনে দিলেন। দ্বিতীয় পদকও ভারোত্তোলনেই। ৬১ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ গুরুরাজার। অথচ তিনি হতে চেয়েছিলেন কুস্তিগির। অলিম্পিক গেমস বেছে নেওয়া অনেকের কাহিনির সঙ্গেই তাঁর মিল রয়েছে। অচেনা একটা গ্রাম থেকে উঠে আসা। তাঁর বাবা লরি চালক। একটা সময় অবধি অভাব ছিল তাঁদের নিত্যসঙ্গী। কিছুটা দিন বদল হয়েছিল ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসের পর।
গোল্ড কোস্টে রুপো জেতার পর গুরুরাজা জানিয়েছিলেন তাঁর ভারোত্তলক হয়ে ওঠার কথা। কর্ণাটকের উজিরে শহরের এসডিএম কলেজে পড়াশুনা। কলেজে পড়াকালীন কুস্তিতেই হাত পাকিয়েছিলেন গুরুরাজা। কোচ রাজেন্দ্র প্রসাদ তাঁকে ভারোত্তোলনে ‘ঠেলে’ দেন। গুরুরাজার কথায়, ‘২০০৮ অলিম্পিকে সুশীল কুমার ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। সেটা দেখেই কুস্তিগির হতে চেয়েছিলাম।’
বার্মিংহ্যাম গেমসে এদিন দুটি পদক জিতেছে ভারত। দুটির সঙ্গে দারুণ যোগ রয়েছে। সুশীল কুমারকে দেখে গুরুরাজা কুস্তিগির হতে চেয়েছিলেন। তেমনই গুরুরাজাকে দেখে কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নেওয়ার তাগিদ জন্মেছিল ভারোত্তোলক সংকেত সারগরের। সাংলির পান দোকানে বসে কমনওয়েলথ গেমসে গুরুরাজার রুপো পাওয়া দেখেছিলেন। এবার নিজেও কমনওয়েলথ গেমসে রুপো পেলেন সংকেত।