CWG 2022: গাড়ি বিক্রি, অফিসে বিভাগীয় তদন্ত, আবেগতাড়িত বাবার বিশ্বাস-সোনা জিতেই ফিরবে মেয়ে

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Aug 04, 2022 | 8:45 AM

Commonwealth Games 2022: অফিসে অনিয়মিত। জয় ভগবানের উপর বিভাগীয় তদন্ত চলছে। গত কয়েক বছর মাইনে পাননি। তাই বলে মেয়ের পদক নিশ্চিত হওয়ার উৎসব করবেন না!

CWG 2022: গাড়ি বিক্রি, অফিসে বিভাগীয় তদন্ত, আবেগতাড়িত বাবার বিশ্বাস-সোনা জিতেই ফিরবে মেয়ে
ডানা মেলে নীতু।
Image Credit source: Instagram

Follow Us

 

নয়াদিল্লি : মা হওয়া কি মুখের কথা! এটাও যেমন, তেমনই বাবা হওয়াও মুখের কথা নয়। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয় সন্তানদের জন্য। যেমনটা করতে হয়েছে এক গর্বিত বাবা জয় ভগবানকে। ২১ বছরের নীতু গংঘাস। কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) পদক নিশ্চিত করেছেন এই বক্সার (Boxing)। তবে বাবা জয় ভগবান আত্মবিশ্বাসী, সোনা নিয়েই ফিরবে মেয়ে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নিকোল ক্লাইডের বিরুদ্ধে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছেন নীতু। হরিয়ানার দাহানা গ্রামে প্রতিবেশীদের মিষ্টি মুখ করিয়েছেন জয় ভগবান। অন্তত ব্রোঞ্জ পদক (Medal) নিশ্চিত। এত লড়াইয়ের পর সেই পদকেই খুশি হবেন নীতু!

 

অফিসে অনিয়মিত। জয় ভগবানের উপর বিভাগীয় তদন্ত চলছে। গত কয়েক বছর মাইনে পাননি জয় ভগবান। তাই বলে মেয়ের পদক নিশ্চিত হওয়ার উৎসব করবেন না! জয় ভগবান বলছিলেন, ‘আমাদের সংসার তো নীতুই চালায়। আমি শুধু ওর কমনওয়েলথ গেমসে পদকের স্বপ্ন পূরণ করার ক্ষেত্রে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ওকে কোনও প্রতিযোগিতা জিততে দেখলে মনে হয়, আমি আমার কাজ ভালো ভাবে করছি। মেয়েকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করব বলে, অফিস থেকে প্রচুর ছুটি নিয়েছিলাম। ওর সঙ্গে বার্মিংহ্যামও যেতে পারিনি। সারাক্ষণ আমাদের শুভেচ্ছা ওর সঙ্গে রয়েছে। আমরা জানি, ও সোনার পদক নিয়েই ফিরবে।’

 

আবেগ ঢাকতে পারলেন না জয় ভগবান। এমনটাই স্বাভাবিক। চাকরির ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য গাড়ি বিক্রি করেছেন। সংসার চালাতে আত্মীয়দের কাছেও টাকা ধার করেছেন। কোচ জগদীশ সিংয়ের কাছে ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ২০ কিলোমিটার বাসে চেপে যেতে হয়েছে নীতুকে। মেয়ের সঙ্গে যেতেন বাবাও। মেয়ের ট্রেনিং শেষ হওয়া অবধি দু ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে। এমনটা অনেক দিন হয়েছে। সেই ঘটনা ভোলেননি নীতু। বলেছেন, ‘বক্সিংই যেন আমাকে বেছে নিয়েছিল। আমাদের এলাকায় বক্সিংই জনপ্রিয় ছিল। বাবা চেয়েছিলেন আমি যেন বক্সার হই। জগদীশ কোচ স্যরের কাছে নিয়ে যান বাবা। জগদীশ স্যর খুবই কড়া ছিলেন। প্রথম দিনের অনুশীলনেও কোনও ছাড় ছিল না। ২০১২ সালের ঘটনা। প্রতিটা বাচ্চার মতো আমিও এত কড়াকড়িতে বক্সিং ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাইরে বাবাকে অপেক্ষা করতে দেখে, নিজের মধ্যে বিশ্বাস আসে, আমিও পারব।’

Next Article