ইউজিন : অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল…। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার অ্যান্ডারসন পিটার্সের (Anderson Peters) ইচ্ছেও ছিল অন্য কিছু। শেষ অবধি হাতে তুলে নেন বর্শা। গতি হারাননি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের (World Athletics Championship) ফাইনালে তাঁর ছোড়া জ্যাভলিন ৯০.৫৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডারসন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সমস্যায় পড়েন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। দ্বিতীয় হলেন নীরজ। সম্প্রতি স্টকহোম ডায়মন্ড লিগেও ৯০ মিটারের বেশি ছুড়ে প্রথম হয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। নীরজ ছুড়েছিলেন ৮৯.৯৪ মিটার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যান্ডারসন জ্যাভলিন থ্রোয়ার না হলে, কী হতেন!
একটা সময় চেয়েছিলেন, পেসার হবেন। এমন একজন দ্রুতগতির বোলার, ব্যাটসম্যান বলই দেখতে পারবেন না। সেই ইচ্ছে বদলে গিয়েছিল। ভেবেছিলেন উসেইন বোল্টের মতো দ্রুত গতির মানব হবেন। এখন তিনি বিশ্বের এক নম্বর জ্যাভলিন থ্রোয়ার। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের একটি পডকাস্টে অ্যান্ডারসন সেই কথায় খোলসা করলেন। বলেন, ক্রিকেট আমার খুব পছন্দের। গ্রেনাডায় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের পাশাপাশি ক্রিকেটও খেলতাম। আমি দ্রুতগতির বোলার ছিলাম। জোরে বল ছোড়ার বিষয়টা দারুণ লাগত। মনে হয়েছিল, আমি এত জোরে বল করতে পারব, ব্যাটসম্যান চোখেই দেখতে পাবেন না। ছোটবেলায় চেষ্টা করতাম ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টায় বোলিংয়ের, যদিও তখন পারতাম না।’
এরপরই অ্যান্ডারসনের গল্পে উসেইন বোল্টের প্রবেশ। বলছেন, ‘বোল্ট যে বার বিশ্ব রেকর্ড গড়ল, আমি স্প্রিন্টার হতে চেয়েছিলাম।’ ১০০ মিটার এবং ৪x১০০ মিটারে অংশ নিয়েছিলেন। চোটের জন্য বাকি দুই ইচ্ছে ত্যাগ করে জ্যাভলিন থ্রোয়ার। কিন্তু জ্যাভলিনই কেন? অ্যান্ডারসন আরও জানান, ‘ছোড়া বিষয়টা আমার কাছে খুব সহজ ছিল। ছোট বেলায় পাথর ছুড়ে গাছ থেকে আম, ন্যাসপাতি পাড়তাম। আম গাছগুলি যথেষ্ট বড় ছিল।’