Umpire Test: হেলমেটে বল ফেঁসে গেলে ক্যাচ আউট দেবেন? কঠিন প্রশ্নপত্রে ভিরমি খেলেন আম্পায়াররা, পাশ মাত্র ৩

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

Aug 18, 2022 | 8:09 PM

মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় উতরে গেলেও বোর্ডের কঠিন প্রশ্নমালায় আটকে গেলেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছিল আম্পায়রদের।

Umpire Test: হেলমেটে বল ফেঁসে গেলে ক্যাচ আউট দেবেন? কঠিন প্রশ্নপত্রে ভিরমি খেলেন আম্পায়াররা, পাশ মাত্র ৩
আম্পায়ারদের পরীক্ষা
Image Credit source: Twitter

Follow Us

মুম্বই:  প্রশ্ন ১. প্যাভিলিয়ন, গাছ অথবা ফিল্ডারের ছায়া পড়ছে পিচে। ব্যাটাররা এই নিয়ে অভিযোগ জানালে কী করবেন?

প্রশ্ন ২. আপনি জানেন বোলারের তর্জমায় চোট লেগেছে। হাতের টেপ খুললে রক্ত ঝরবে। তা সত্ত্বেও বোলারকে আঙুলের টেপ খুলে বল করতে বলবেন?

প্রশ্ন ৩. ধরুন ফেয়ার ডেলিভারিতে ব্যাটার এমন শট খেললেন যাতে শর্ট লেগ ফিল্ডারের হেলমেটে গিয়ে বল আটকে গেল। হেলমেট পড়ে গেলেও বল মাটিতে পড়ার আগে ফিল্ডার ক্যাচ ধরে ফেললেন। এই অবস্থায় ব্যাটারকে কি ক্যাচ আউট দেবেন?

উপরোক্ত প্রশ্নগুলি বিসিসিআই (BCCI) আয়োজিত আম্পায়ারদের লেভেল-২ পরীক্ষার। গতমাসে বোর্ডের তরফে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে পাশ করা মানে মহিলা ও জুনিয়র স্তরের গ্রুপ ডি ম্যাচ পরিচালনা করার সুযোগ। বিসিসিআইয়ের এলিট আম্পায়ারের (Umpire) তালিকায় ঢোকার প্রথম ধাপও বটে। পাশ করতে হলে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৯০ পাওয়া বাধ্যতামূলক। ১১০ নম্বর লিখিত পরীক্ষায়, ৩৫ নম্বরের মৌখিক এবং ভিডিও এবং ৩০ নম্বরের শারীরিক পরীক্ষা। মৌখিক ও শারীরিক পরীক্ষায় উতরে গেলেও বোর্ডের কঠিন প্রশ্নমালায় আটকে গেলেন অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হয়েছিল আম্পায়রদের। মোট ১৪০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। টেনেটুনে পাশ করলেন মাত্র তিনজন। এই প্রথম আম্পায়ার টেস্টে শারীরিক পরীক্ষা রাখা হয়েছিল। বর্তমানে আম্পায়ারদেরও শারীরিকভাবে ফিট থাকার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই এই আয়োজন। সব ঠিক ছিল। গোল বাঁধল লিখিত পরীক্ষায়। পরীক্ষায় অকৃতকার্য আম্পায়ারদের কাছে, অনার্সের আটটা পেপারও সহজ মনে হয়েছে।

এমন কঠিন প্রশ্নপত্র কেন? বোর্ডের তরফে এক কর্তা জানান, পরীক্ষার্থীদের উপস্থিত বুদ্ধির পরীক্ষা ছিল এটি। আম্পায়ারিং শুধু ক্রিকেটীয় নিয়ম কানুন জানা নয়, লাইভ ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আম্পায়ারের কাজ এত সহজ নয়। তাই কোনওদিক থেকে গুণগত মানের সঙ্গে আপোস করতে রাজি নয় বিসিসিআই। আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরের ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে হলে ভুল করার কোনও জায়গা নেই। রাজ্য সংস্থা থেকে যে আম্পায়ারদের পাঠানো হয়েছে তাঁরা যোগ্যতা পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। এ কাজে প্যাশন থাকা ভীষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি খেলার নিয়ম কানুন সম্পর্কে ছোট বড় সবরকম জ্ঞান থাকা দরকার। সেটারই অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে।

Next Article