নয়াদিল্লি: আইপিএলের রিটেনশন (IPL Retention) পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। মেগা নিলামের (IPL Auction) আগে আইপিএলের ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফ থেকে ২৭ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখা হয়েছে। আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ২৬৯ কোটি টাকা খরচ করেছে এই ক্রিকেটারদের রিটেন করার জন্য। ২৭ জন রিটেন করা ক্রিকেটারদের মধ্যে ১৯ জন ভারতীয় এবং ৮জন বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন। যে সকল ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই নিলামে উঠবেন। এবং সেই মেগা নিলামে সব থেকে বেশি দর উঠতে পারে যে ৫ ক্রিকেটারের তাঁরা হলেন—
২০১৬ সালে ওয়ার্নারের নেতৃত্ব আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে আইপিএল-১৪-তে তাঁকে মাঝপথে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় অরেঞ্জ আর্মি। তারপর প্রথম একাদশ থেকেও বাদ দিয়ে দেয়। তাই তখন থেকেই এক প্রকার ঠিক ছিল তিনি অন্য দলে চলে যাবেন পরের মরসুমে। ফলে ওয়ার্নারকে কেনার জন্য নিলামে বড় বিডের হাঁক শোনা যেতে পারে।
আইপিএল-১৪-তে পঞ্জাব কিংসের হয়ে ক্যাপ্টেন্সি সামলালেও নতুন মরসুমের আগে তিনি জানিয়ে দেন তিনি দল ছাড়তে চান। দল তাঁকে রিটেন করতে চাইলেও তিনি নিজেই প্রীতির দলে থাকতে নারাজ ছিলেন। ফলে পঞ্জাব তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয়। আগামী মরসুমে যে দুটি নতুন দল আসছে তার মধ্যে লখনওতে তাঁকে ক্যাপ্টেনের ভূমিকাতেও দেখা যেতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। ফলে আইপিএল নিলামে তিনি কিন্তু সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটারের তালিকায় নিঃসন্দেহে থাকতে পারেন।
আফগান তারকা স্পিনার গত মরসুমে ,সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন। তবে তাঁকে রিটেন করেনি অরেঞ্জ আর্মি। যদিও তাঁরা রশিদকে ধরে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন উইলিয়ামসনকে ১৫ কোটি টাকায় ধরে রাখার পর রশিদকে ১১ কোটিতে ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি হায়দরাবাদ। তাই তারা রিলিজ করে দিয়েছে আফগান স্পিনারকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারকে দলে টানতে ঝাঁপাতে চলেছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি এমনই ধারণা ক্রিকেটমহলের।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে মাত্র ৪ ক্রিকেটার রিটেন করাটা কঠিন কাজ হলেও তারা কিন্তু দল থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন ঈশান কিষাণকে। ওপেনার হিসেবে রোহিতের সঙ্গে একাধিক ম্যাচে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছে ঈশানকে। ফলে তাঁর মতো তরুণ তারকা ক্রিকেটারকে দলে রাখলে যে কোনও দলই ভবিষ্যতে সমৃদ্ধ হবে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাই আসন্ন নিলামে তাঁকে কেনার জন্য মুম্বই বেশি বিড করে নাকি অন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি টেনে নেয় ঈশানকে সেদিকে চোখ রাখতে হবে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিংয়ে অন্যতম শক্তি ট্রেন্ট বোল্টকে এ বারের রিটেনশনে ধরে রাখেনি মুম্বই। ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে বোল্ট এসেছিলেন মুম্বইতে। সেই মরসুমে তিনি টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হয়েছিলেন। গত দু’বছর ধরে মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ভালো পারফর্ম করেছেন বোল্ট। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট নিতে পারদর্শী বোল্ট। ফলে আসন্ন মেগা নিলামে বোল্টের দাম বেশ ভালো উঠতে পারে বলেই মনে করছে ক্রিকেটমহল।