কলকাতা : এ বারের আইপিএল (IPL 2023) পরতে পরতে রোমাঞ্চে মোড়া। গ্রুপ পর্বের একাধিক ম্যাচ থেকে প্লে অফের ম্যাচ সবেতেই বাড়তি উত্তেজনা অনুভব করতে বাধ্য ক্রিকেটপ্রেমীরা। আইপিএলের আগে দেশের হয়ে কেউ দুরন্ত ফর্মে আছেন মানে এমনটা নয় যে, আইপিএলেও তিনি সাফল্য পাবেন। গত আইপিএলের পারফরম্যান্স থেকেও কোনও ক্রিকেটারের উপর বাজি ধরা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিপাকে পড়তে হতে পারে। এই যেমনভাবে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে হল। এ বারের আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছেছিল লখনউ। কিন্তু এলিমিনেটর ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হেরে এ বারের মতো আইপিএল যাত্রা শেষ হয়েছে সুপার জায়ান্টসদের। লখনউ দলে প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু পারফরম্যান্স তেমন কথা বলেনি। গত বারের আইপিএল পারফরম্যান্স দেখে দীপক হুডাকে (Deepak Hooda) রিটেন করে রেখেছিল। কিন্তু সেই দীপক তাঁর এ বারের পারফরম্যান্স দিয়ে একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি। উল্টে প্রায় ৬ কোটির ক্রিকেটারের খাতায় পুরো মরসুমে মাত্র ৮৪ রান! এক লহমায় আকাশ থেকে হঠাৎ মাটিতে পৌঁছে গিয়েছেন এই তারকা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
২০২২ সালের আইপিএলে ১৫ ম্যাচে খেলে ১৪টি ইনিংসে ৪৫১ রান করেছিলেন তিনি। তাঁর গড় ছিল ৩২.২১ আর স্ট্রাইকরেট ১৩৬.৬৭। গত আইপিএলে লখনউ সুপায় জায়ান্টসের হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রান করা ক্রিকেটারদের তালিকায় ৩ নম্বরে ছিলেন তিনি। আর এ বার ১২ ম্যাচে তাঁর গড় ৭.৬৪। স্ট্রাইকরেট ৯৩.৩৩। আর প্রাপ্তি মাত্র ৮৪ রান। পুরো মরসুম জুড়ে দীপক মাত্র ২টি ছয় আর ৩টি চার মেরেছিলেন। এ বারের আইপিএলে দীপকের এই পারফরম্যান্স ঠিক দুঃস্বপ্নের মতো।
দীপক হুডা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। গত বছর আয়ার্ল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন দীপক। কিন্তু এ বারের আইপিএলে তিনি কোনও ইনিংসে ২০ রানও পার করতে পারেননি। ১৬তম আইপিএলে তাঁর সবচেয়ে বড় ইনিংস ছিল ১৭ রান। ওপেনিং থেকে ৭ নম্বরে খেলতে নামলেও তিনি ফর্ম ফিরে পাননি।
আইপিএলের এক মরসুমে সব থেকে খারাপ ব্যাটিং গড়ের নজিরও গড়েছেন দীপক হুডা। এর আগে ২০২১ সালে সবচেয়ে খারাপ ব্যাটিং গড় ছিল নিকোলাস পুরানের। তার আগে প্রথম বার আইপিএলে সবচেয়ে খারাপ ব্যাটিং করার নজিরও গড়েছিলেন দীপক হুডা। ২০১৬ সালে ১০.২৮ গড়ে রান করেছিলেন দীপক।
১) ৭.৬৩- দীপক হুডা (২০২৩)
২) ৭.৭২ – নিকোলাস পুরান (২০২১)
৩) ১০.২৮ – দীপক হুডা (২০১৬)