অসীম ধৈর্যের পরীক্ষা দিল জাপান। বোর্ডে বিশাল টার্গেট। ভারতের বোলিং লাইন আপ। ৫০ ওভারের ম্যাচে টেস্ট ব্যাটিং জাপানের। তাতে কী! ৫০ ওভার ব্যাট করল জাপান। ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হারলেও ধৈর্যের পরীক্ষায় ফুল মার্কস। ক্রিকেট বিশ্বে তথাকথিত ছোট দল জাপান। তাদের এমন ব্যাটিং ধৈর্য যে কোনও দলকেই উদ্বুদ্ধ করবে। একই সঙ্গে ভারতের বোলিং নিয়েও যেন প্রশ্ন উঠল। শেষ অবধি ২১১ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেও অস্বস্তি কিন্তু থাকলোই ভারতীয় শিবিরে।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল ভারত। ৪৪ রানের হার। সেই ম্যাচে শেষ উইকেট জুটির সৌজন্যে হারের ব্যবধান কমেছিল। জাপানের বিরুদ্ধে বড় জয়ে ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য ছিল। এ দিন শারজা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় জাপান। টপ থ্রি-র মধ্যে সেরা অবদান আয়ুষ মাহত্রের। মাত্র ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন এই ওপেনার। ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছয় মারেন। তবে ভারতকে বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করেন ক্যাপ্টেন মহম্মদ আমান।
ক্যাপ্টেন্স নকই বলা যায়। ১১৮ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন আমান। মাত্র ৭টি বাউন্ডারি মেরেছেন। দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েছেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন কার্তিকেয়। ৪৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান তোলে ভারত। রান তাড়ায় ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন জাপানের দুই ওপেনার। ইনিংসের ১৪তম ওভারে অবশেষে জুটি ভাঙেন হার্দিক রাজ। নিহার পার্মারকে ফেরান হার্দিক। জাপান ওপেনার হুগো কেলি হাফসেঞ্চুরি করে আউট হন। ১১১ বল ক্রিজে কাটান কেলি। শেষ অবধি ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৮ রান করে জাপান।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পেসার যুধাজিৎ গুহ ৭ ওভারে ৩টি মেডেন সহ মাত্র ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন চেতন শর্মা, হার্দিক রাজ ও কার্তিকেয়।