টুর্নামেন্টের শুরুতেই ব্রায়ান লারা প্রেডিকশন করেছিলেন, আফগানিস্তান সেমিফাইনালে যাবে। সেটাই বাড়তি তাগিদ দিয়েছিল আফগানিস্তানকে! সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই ভারতের কাছে হার। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। তবে সেটাই যথেষ্ঠ ছিল না। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতেই হত। এই ম্যাচে বৃষ্টি, ডিএলএস, লিটন দাসের অনবদ্য ইনিংস। সব বাধা পেরিয়ে ডিএলএসে ৮ রানে জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। ম্যাচ শেষে ব্রায়ান লারাকে বিশেষ ধন্যবাদ আফগানিস্তান ক্যাপ্টেন রশিদ খানের।
আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রথম বার সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। ক্যাপ্টেন রশিদ খান বলেন, ‘সত্যি বলতে, অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। তবে আমাদের সেমিফাইনালের কৃতিত্ব দিতে হবে ব্রায়ান লারাকে। তিনিই একমাত্র ব্য়ক্তি যিনি মনে করেছিলেন, আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারি। তাঁর এই বিশ্বাস টুর্নামেন্টের শুরুতে তাতিয়েছিল। তাঁকে বিশেষ ধন্যবাদ।’
ম্যাচ প্রসঙ্গে রশিদ বলছেন, ‘১৩০-১৩৫ ভালো স্কোর হত। আমরা ১৫-২০ রান কম ছিলাম। জানতাম, ওরা বিধ্বংসী ব্যাটিং করবে। আমরা উইকেট সোজা বল করতে চেয়েছিলাম। বৃষ্টি, রেজাল্ট এসব নিয়ে ভাবছিলাম না। আমরা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছি কিনা, সেটা বেশি জরুরি ছিল। সকলেই সেটা করেছে। ফজলহক-নবীন দুর্দান্ত শুরু করায় মিডল ওভারে স্পিনারদের সুবিধা হয়েছে। এত দিন আমাদের এটাই দুর্বলতা ছিল। ওদের বলে হয়তো প্রচুর গতি নেই, তবে দুর্দান্ত বোলিং করছে। সেটাই প্রয়োজন। আমাদের কাছে একটাই রাস্তা ছিল, ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন, ‘আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। ব্যাটিংয়ে খারাপ শট সিলেকশন। বিশেষ করে মিডল ওভারে। প্রথম ৬ ওভারে বিধ্বংসী খেলারই লক্ষ্য ছিল। তবে নিয়মিত উইকেট হারানোয় মিডল অর্ডার চাপে পড়ে। বোলাররা পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো পারফর্ম করেছে। বিশেষ করে বলতে হয় তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের কথা।’