IPL 2025, DC: দিল্লি ক্যাপিটালসে আফগান বাঁ হাতি তরুণ, কে এই অটল?
Delhi Capitals: অনেকেই ভেবেছিলেন যে আইপিএলে কোনও না কোনও দল নেবেই। নিলামে হয়নি। কিন্তু সুযোগ এসেছে। হ্যারি ব্রুকের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা অটলকে সই করিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দল তো পেলেন, খেলার সুযোগ মিলবে কি?

রশিদ খান থেকে নুর আহমেদ। গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছেন আফগান খেলোয়াড়রা। ২০১৭ সালে রশিদ খান, মহম্মদ নবিদের উত্থান হয় আইপিএলে। সেই সময় থেকেই আফগানিস্তান টিমও দারুণ পারফর্ম করতে থাকে। এর পরে বিশ্বকাপেও জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ তাদের নতুন পরিচিতি দেয় যেন। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো টিমকে হারায়। আইপিএলের মঞ্চে ক্রমশ বাড়ছিল আফগান ক্রিকেটারের সংখ্যা। যোগ হল আরও এক তরুণের। আইপিএলে এ মরসুমের শেষ লগ্নে সুযোগ পেয়েছেন। যাঁর দূরন্ত ব্য়াটিংয়ের সৌজন্যে এমার্জিং এশিয়া কাপে মুখ থুবড়ে পড়েছিল অনেক বড় দলও। কথা হচ্ছে আফগান ব্যাটার সিদ্দিকুল্লা অটলের।
এমার্জিং এশিয়া কাপে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিংও আইপিএলে সুযোগের জন্য যথেষ্ট ছিল না। মেগা নিলামে কোনও দল অটলের নাম নিয়ে আলোচনাও করেনি। গত দু’বছর ধরে নিয়মিত ভালো পারফরম্যান্স করছেন সিদ্দিকুল্লা অটল। ২০২৩ সালে কাবুল প্রিমিয়ার লিগ, ২০২৪ সালে এমার্জিং এশিয়া কাপে অদ্ভুত পারফরম্যান্স। অনেকেই ভেবেছিলেন যে আইপিএলে কোনও না কোনও দল নেবেই। নিলামে হয়নি। কিন্তু সুযোগ এসেছে। হ্যারি ব্রুকের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা অটলকে সই করিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দল তো পেলেন, খেলার সুযোগ মিলবে কি? এটাও বড় প্রশ্ন। আইপিএলের সূচি বদলের কারণে অনেক বিদেশির খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়েছে। সেটাই সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে অটলের।
২০২০ সালে ১৯ বছর বয়সে টি-টোয়েন্টিতে ডেবিউ হয়। ২০২১ সালে ওডিআইতে ডেবিউ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের অস্থির পরিস্থিতির কারণে সে সময় সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সালে তাঁর ওডিআই অভিষেক হয়। ২০২৩ সালে কাবুল প্রিমিয়ার লিগ থেকেই তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু। সেখানে এক ম্যাচে ওভারে ৪৮ রান করেন অটল! সেই ইনিংসে ৫৬ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। যার মধ্যে সাতটি চার এবং দশটি ছক্কা ছিল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে তিনি মাত্র ৪২ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন।
২০২৪ সালে এমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন অটল। ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৫২ বলে ৮৩ রান করেন। পাঁচ ম্যাচে ৩৬৮ রান! টুর্নামেন্টে শীর্ষে ছিলেন। এরপর ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আফগান দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৫ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অবশেষে আইপিএলে সুযোগ। এবার কি আইপিএলকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের জন্য পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারবেন অটল?
আশা-আশঙ্কা দুটোই রয়েছে। সুযোগ পেলে তাঁর আশা হতে পারে আত্মবিশ্বাস। ভারতে যেমন পিচ, এমন পরিবেশ পরিস্থিতিতে ভালো খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর আশঙ্কা, আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ।
