বেঙ্গালুরু: ভারতের (India) ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে হওয়া ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শেষ। রবিরাতে ২-২ ফলাফলে শেষ হল এই সিরিজ। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে প্রথম দুটো ম্যাচে হারার পর, সিরিজে কামব্যাক করে মেন ইন ব্লুরা। প্রতিটা ম্যাচেই টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে হয়েছে ভারতকে। ফলে ভারতের ব্যাটাররা তাঁদের কাজটা করে যাওয়ার পর, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকানোর গুরুদায়িত্বটা থাকত টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের হাতে। নয়াদিল্লিতে প্রথম ম্যাচে ২১২ রানের টার্গেট দিয়েও পন্থদের হারতে হয়েছিল, যে হারের জন্য নিজেদের দায় স্বীকার করেছিলেন ভারতের বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়া সিনিয়র তারকা বোলার ভুবনেশ্বর কুমার। তবে ভারতের বোলাররা পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার কসর ছাড়েনি। কোনও ম্যাচে পারফর্ম করে গিয়েছেন হর্ষল প্যাটেল, যুজবেন্দ্র চাহাল, আবেশ খানরা। তবে টিম ইন্ডিয়ার একজন বোলারের মধ্যে দেখা গিয়েছে ধারাবাহিকতা। ভুবনেশ্বর কুমার (Bhuvneshwar Kumar) হলেন সেই বোলার, যিনি ভারতের শুরুটা বেশ গুছিয়ে করেন। যার ফলে শেষ অবধি সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে বাড়িও ফিরলেন ভুবি।
ম্যাচের শেষে সিরিজ সেরার পুরস্কার নিয়ে ভুবনেশ্বর বলেন, “সিরিজের সেরা হতে পারলে সেটা গর্বের মুহূর্ত হয়। এবং টি-টোয়েন্টিতে একজন বোলার হিসেবে এই প্রাপ্তিটা অসাধারণ। আমার বোলিং হোক বা আমার ফিটনেসের দিক থেকে আমি সব সময় শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসার চেষ্টা করি। আমি অনেক বছর ধরে খেলছি। আমার ভূমিকা সব সময় একই ছিল। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ২ ওভার বল করা, আর শেষে ২ ওভার বল করা। এই জিনিসগুলো একই থাকবে। তবে আমি একজন সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে, সব সময় তরুণদের সাহায্য করি। আমি ভাগ্যবান যে ক্যাপ্টেন আমাকে নিজের মতো খেলার স্বাধীনতা দিয়েছে। এবং ও বলেছিল, তুমি যেমনটা চাও ঠিক তেমনভাবেই খেলো। যার ফলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করাটা স্বাভাবিক।”
দেশের মাঠে সদ্য শেষ হওয়া ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার মধ্যে সব থেকে অভিজ্ঞ বোলার হলেন ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া বোলিং ব্যর্থতার মুখে পড়েছিল। প্রথম ম্যাচে আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি ভুবি। সেই ম্যাচে ৪৩ রান দিয়ে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এরপর কটকে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে তিনি ১৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন। তৃতীয় ম্যাচে ২১ রানের বিনিময়ে পান ১টি উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে ৮ রান খরচ করেন, তবে উইকেট পাননি। আর পঞ্চম ম্যাচে ভারতের বল করার সুযোগই আসেনি।
তবে পাওয়ার প্লে-তে ভুবি যেভাবে চাপ ধরে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর, তার ফলে ভারতের বাকি বোলাররা কিছুটা হলেও সুবিধে পেয়েছেন এই সিরিজে। পাওয়ার প্লে-তে ৪ ম্যাচে ৫৪ টি বল করে ৩২ রান খরচ করেছেন এবং ৩.৫৫ ইকোনমি রেটে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দেশের মাঠে ভালো পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজর ধরে রাখাই পরিকল্পনা ছিল ভুবনেশ্বরের। কারণ ভুবির টার্গেট আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে খেলা। এবং তাঁর পর ভারতের হয়ে ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও খেলা। তাই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে জায়গা পাকা করার জন্য এই ধরণের পারফরম্যান্সই তাঁর থেকে কাম্য।