কলকাতা : ঠিক যেন গত ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। রঞ্জি অভিযানে ঘরের মাঠে বাংলার দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ হিমাচলপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও শুরুটা ভালো হয়নি। শেষ অবধি বোলারদের সৌজন্যে ম্যাচে ফেরা এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং দাপটে জয়। হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধেও ব্যাটিং বিপর্যয়। একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়ালেন অনুষ্টুপ মজুমদার। কিছুটা সঙ্গ দিলেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। যার জেরে খাদের কিনারা থেকে অনবদ্য প্রত্যাবর্তন বাংলার। ম্য়াচের প্রথম দিনের শেষে সাময়িক স্বস্তিতে বাংলা। বিস্তারিত রিপোর্ট Tv9Bangla-য়।
বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হল পেসার রবিকান্ত সিংয়ের। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হিমাচলপ্রদেশ অধিনায়ক ঋষি ধাওয়ান। লক্ষ্য ছিল নতুন বলে বাংলা ব্য়াটিংয়ে বিপর্যয় আনা। সেই লক্ষ্যে সফল তাঁরা। মাত্র ৪৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় বাংলা। দুই ওপেনার কৌশিক ঘোষ, অভিষেক দাস ছাড়াও আউটের এই তালিকায় সুদীপ ঘরামি এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল বাংলার পক্ষে। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ফের ত্রাতার ভূমিকায়। এক দিক আগলে রাখলেন অনুষ্টুপ। শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে বড় জুটি গড়েন। শাহবাজ ফিরতে ফের একলা হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ। শাহবাজ ৪৯ রানে ফেরেন। আকাশদীপ করেন ৩৪ রান।
লোয়ার অর্ডার ব্য়াটারদের সঙ্গে নিয়েই শেষ অবধি ১৪৯ বলে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছন অনুষ্টুপ। প্রথম দিন মাত্র ৭৮ ওভার খেলা হয়েছে। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯ উইকেটে ৩১০। ভরসা সেই অনুষ্টুপ। দিনের শেষে ১৫৯ রানে অপরাজিত তিনি। সঙ্গে রয়েছেন পেসার ঈশান পোড়েল (৬)। হিমাচলপ্রদেশের পেসার সিদ্ধার্থ শর্মা ৫ উইকেট নেন। বাংলা শিবিরে বরাবরই ক্রাইসিস ম্যান অনুষ্টুপ। আরও একবার তা প্রমাণ করলেন। দিনের খেলার শেষে অনুষ্টুপ বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে খুশি। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি। আরও যতটা বেশি সম্ভব রান যোগ করতে হবে। কাল সকালে সে দিকেই নজর থাকবে। তবে আমার পাশাপাশি কৃতিত্ব প্রাপ্য শাহবাজ, আকাশদীপেরও। ওরা আমাকে জুটি গড়তে সহযোগিতা করেছে।’