দুবাই : বিশ্বব্যাপী দিন দিন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের (Franchise League) দাপট বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংকটে পড়ে গিয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে হয় অর্থের ছড়াছড়ি। রাতারাতি কোনও ম্যাচে দারুণ পারফর্ম করলে লাইমলাইটে আসা যায়। যে কারণে একাধিক ক্রিকেটার দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার আগ্রহ হারাচ্ছেন। এবং তাঁরা ঝুঁকে পড়ছেন বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে। সম্প্রতি বছরভর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার প্রস্তাবও পাচ্ছেন একাধিক ক্রিকেটার। কিছু কিছু ক্রিকেটার সেই প্রস্তাব গ্রহণও করছেন। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ইংল্যান্ডের জেসন রয় (Jason Roy)। তিনি বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আইসিসি (ICC) বুঝতে পেরেছে এই শুরু। এ বার রয়ের দেখানো পথে অনেকেই হাঁটতে পারেন। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে আইসিসি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দাপট আটকাতে আইসিসি দু’টি কড়া নিয়ম আনতে চলেছে। আইপিএলের নিয়মের মতো অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলিতে চারজন বিদেশি ক্রিকেটারকে একাদশে রাখার নিয়ম করছে আইসিসি। সদ্য আরব আমিরশাহিতে যে আন্তর্জাতিক টি-২০ লিগের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তাতে একাদশে ৯ জন করে বিদেশি খেলানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে। একইসঙ্গে শোনা গিয়েছে সৌদি আরবের লিগেও এই নিয়ম থাকছে। এর ফলে বিদেশি ক্রিকেটাররা সেই লিগের দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে মনে করছে আইসিসি। তাই একাদশে বিদেশি সংখ্যা বেঁধে দিতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
আইসিসির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলিতে যে দ্বিতীয় নিয়মটি আনার কথা ভাবছে সেটিও আইপিএলে চালু আছে। আইসিসি চাইছে, এ বার থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে কোনও দেশের বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারকে সই করাতে হলে সেই ক্রিকেটারের পাশাপাশি তাঁর দেশের বোর্ডকেও একটা বড় অঙ্কের টাকা দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। আইসিসির ধারণা, তাতে হয়তো বেশি বিদেশি ক্রিকেটারদের সই করানোর প্রবণতা কমবে। আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেটারের মোট চুক্তির ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে বোর্ডকে। এ বার দেখার এই নতুন নিয়মগুলি কবে চালু হবে, এবং এগুলি কি মানবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলো?