মুম্বই: রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) টি-টোয়েন্টি (T20) ভাবনা থেকে কি ক্রমশ সরে যাচ্ছেন মহম্মদ সামি (Mohammed Shami)? গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় টিম কার্যত কিছু করতে পারেনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহম্মদ সামি চরম ব্যর্থ হয়েছিলেন। ওই ম্যাচের পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বাংলার পেসার সামি। আর তার পর থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। যা পরিস্থিতি, তাতে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে জাতীয় দলে চাইছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। শুধু সামি নন, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ক্ষেত্রেও একই মনোভাব। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই আবার সাদা বলের টিমে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল অশ্বিনের। তখন বলা হয়েছিল, অশ্বিনকে ফেরানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন রোহিতই। কিন্তু তিনিও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর অশ্বিনে খুব আস্থা রাখছেন না। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর বিকল্প নেই। কিন্তু ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতে নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের উপরেই আস্থা বেশি। সামি এবং অশ্বিনের কাছে এই আইপিএল বড় পরীক্ষা হতে চলেছে। যদি এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটার দুরন্ত পারফর্ম করেন, তা হলে তাঁদের জন্য আবার দরজা খুলে যেতে পারে।
সামির বদলে দীপক চাহার, শার্দূল ঠাকুর, হর্ষল প্যাটেলদের কথাই বেশি করে ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। দুটো কারণ। এক, এই তিনজনই কুড়ি-বিশের ফর্ম্যাটে অত্যন্ত সফল। দুই, এই তিনজনই প্রয়োজনে ব্যাট হাতে টিমকে টানতে পারেন। সেই সঙ্গে সামির বয়সের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। তিন ফর্ম্যাটে খেলার ধকল তিনি নিন, টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে না। আবার অশ্বিনের পরিবর্তে তরুণ রাহুল চাহারকে খেলাতে বেশি আগ্রহী রোহিত-রোহিত জুটি। সে দিক থেকে দেখলে ৯ বছরের কেরিয়ারে দেশের হয়ে খুব বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি সামি। ১৭টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ওই ফর্ম্যাটে পরবর্তী পেসার হিসেবে লাইনে থাকছেন প্রসীধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজ, আবেশ খান।
বোর্ডের এক কর্তা বলছেন, ‘সব ফর্ম্যাটেই সমস্ত বোলার পারফর্ম করবে, এটা হতে পারে না। জশপ্রীত বুমরা একমাত্র বোলার যে সব ফর্ম্যাটেই নিজেকে মেলে ধরছে। টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু সমস্ত ক্রিকেটার সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ছবি রাখার চেষ্টা করছে। সামির সঙ্গেও এ নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই কথা বলা হবে। সামির ওয়ান ডে কেরিয়ার কিন্তু অনেক ভালো।’
ওই কর্তার যুক্তি, ‘শার্দূল আর দীপককে টিমে নিলে ব্যাটিং গভীরতা বাড়বে। টপ অর্ডার যদি রান না পায়, তা হলে ওদের দিয়ে কাজ চালিয়ে দিয়ে যাবে। সামি কিন্তু টেস্ট টিমের সম্পদ। টিম চায়, সব টেস্টের জন্য যেন ওকে সেরা ফর্মে পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে যেন ও সেরাটা দিতে পারে।’
পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে, যদি আইপিএলে দুরন্ত পারফর্ম করতে পারেন সামি। পঞ্জাব ছেড়ে এ বারই গুজরাত টাইটান্সে যোগ দিয়েছেন বাংলার পেসার। তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্স কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবাতে বাধ্য করবে। বিশেষ করে আগামী টি-টোয়েন্টি যখন অস্ট্রেলিয়ায়, তখন অভিজ্ঞ পেসারদের কাজে লাগবে। অশ্বিনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই।