কলকাতা: এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে নজর কাড়তে পারেননি। আঙুল উঠেছিল তাঁর দিকে। নেপালের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন পড়েনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হল। সেটা অবশ্য ভালো দিক। ভারতের ওপেনিং জুটি দুর্দান্ত শুরু করেছে। শুভমন-রোহিত ১২১ রান যোগ করে। রবিবার বিরাট-রাহুল জুটি ক্রিজে সবে থিঁতু হচ্ছেন, এমন সময় বৃষ্টি। যার জন্য ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডে-তে। সোমবারও দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর খেলা শুরু হয়। এত গ্যাপের পর মনসংযোগ ধরে রাখা কঠিন। শুরুর দিকে বেশ কিছু ডেলিভারিতে বিট হলেন। এরপর বিরাটের দিন। ওডিআই ফরম্যাটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় প্রথম পাঁচেই ছিলেন। এ বার ১৩ হাজারের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন বিরাট কোহলি। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কলম্বোয় ফের জ্বলে উঠেছেন কোহলি। এই মাঠে শেষ তিন ম্যাচেই সেঞ্চুরি ছিল তাঁর। পরিসংখ্যান প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল বিরাট-ভক্তদের। এ দিন বিরাট হাফসেঞ্চুরি অবধি পৌঁছতেই প্রত্যাশা আরও বাড়ে। একটা মাইলফলক পেরোলে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে ব্যাটারের। বিরাটের ক্ষেত্রেও তাই হল। ক্রমশ ঝড় তোলেন। ৫০ থেকে সেঞ্চুরির পথে নিলেন মাত্র ২৯টি ডেলিভারি! সব মিলিয়ে ৮৪ বলে সেঞ্চুরি। ৯৪ বলে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস বিরাট কোহলির। প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেট।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির সৌজন্যে ওয়ান ডে ফরম্যাটে দেশের হয়ে ১৩ হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে গিয়েছেন বিরাট। দ্রুততম হিসেবে ১৩ হাজারের মাইলফলকে তিনি। ওয়ান ডে ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান মাস্টারব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের। ৪৬৩ ম্যাচে ১৮৪২৬ রান করেছেন সচিন। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ২০০। এরপরই রয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন কিপার-ব্যাটার কুমার সাঙ্গাকারা। ৪০৪ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহে ১৪২৩৪ রান। তিন নম্বরে রয়েছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ৩৭৫ ম্যাচে ১৩৭০৪ রান করেছেন। চতুর্থ স্থানে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বাঁ হাতি বিধ্বংসী ওপেনার সনৎ জয়সূর্য। তাঁর রান ১৩৪৩০। বিরাট কোহলি পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ওডিআই-তে ১৩ হাজার পেরোলেন। তাঁর মোট রান ১৩০২৪। যে গতিতে এগচ্ছেন তাতে প্রথম চারে প্রবেশ যেন সময়ের অপেক্ষা।
আজ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ। একই মাঠে খেলা। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে, এই মাঠে বিরাটের থেকে আরও একটা ভালো ইনিংসের অপেক্ষায় দিন শুরু হবে।