কলম্বো: প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে যেন একাই ভারতীয় টিমকে শেষ করে দিলেন ২০ বছরের এক তরুণ। এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে বাঁ হাতি স্পিনার দুনিত ওয়াল্লালাগে ১০ ওভার বল করে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ঝুলিতে কে নেই! রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি থেকে শুভমন গিল, লোকেশ রাহুল। ভারতের সব সেরা ব্যাটারদের একাই ফিরিয়ে দিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। মাত্র ১৩টা ওয়ান ডে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে দুনিত ম্যাজিক দেখালেন কী ভাবে? শ্রীলঙ্কান স্পিনারের সাফল্যের পাশাপাশি ভারতীয় ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মন্থর পিচ, ঘূ্র্ণি থাকলেই কি রোহিত-বিরাটদের সমস্যা হয়? এক প্রাক্তন ক্রিকেটার কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক তুলে দিয়েছেন। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২১৩ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে ভারত। যদিও ভারত ম্যাচটা জিতে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে পড়েছে। কিন্তু তারকা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে কথা উঠে যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জোড়া সেঞ্চুরি, জোড়া হাফসেঞ্চুরি করেছেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। তাতেও সমালোচনা থামছে না। গৌতম গম্ভীরের মতো প্রাক্তন কিন্তু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন ভুল। তাঁর কথায়, ‘এটা যেন একটা ধারা হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের ম্যাচটা মনে করে দেখুন। অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন অ্যাগরের মতো স্পিনারের বিরুদ্ধে ২৬০ তাড়া করতে নেমেছিল ভারত। চেন্নাইয়ের পিচে সেদিন স্পিন ধরছিল। যে পিচে স্পিন থাকে, আমাদের ব্যাটারদের ঝামেলায় পড়তে হয়। খেলাটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব কিনা, সেটাও বঝতে পারি না।’
জাম্পা ওই ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। অ্যাগর নিয়েছিলেন ২ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে হেরে গিয়েছিল ভারত। গম্ভীরের কথায়, ‘কলম্বোর এই উইকেটটা কিন্তু ৩৫০ রানের ছিল না। ২৭০ রানের ছিল। বল যখন ঘুরছে, তখন ব্যাটারদের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া দরকার ছিল। ৪০ ওভারে ১৬০-১৭০ রানে ৩ উইকেট হলে ঠিক ছিল। বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল কিন্তু বাজে আউট হয়েছে। বাকি তিনজন ফ্রন্ট ফুটেই বিট হয়েছে। রোহিত গতিতে পরাস্ত হয়েছে। গিল যে বলে আউট হয়েছে, সেটা সত্যিই অসাধারণ বল ছিল। অনেক ক্ষেত্রে যখন বল ঘোরে, বিশেষ করে বোলার যদি উইকেটের কাছ থেকে না করে ক্রিজের কোণ থেকে ডেলিভারি করে, তখন কিন্তু স্পিন বেশি হয়। খেলতে সমস্যাও হয়। সে ক্ষেত্রে ফ্রন্ট ফুটের বদলে ব্য়াকফুটেও খেলা যেতে পারে। তখন তার পরও বলব, ভারতীয় ব্যাটারদের কাছ থেকে কিন্তু এর থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা ছিল।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যাচ ভারতের। ওই ম্যাচেও কিন্তু আতসকাচের তলায় থাকবেন ভারতীয় ব্যাটাররা।