বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিল ভারত। মায়াঙ্ক যাদব ভারতীয় টিমে জায়গা পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায়, কবে ১৫০কিমি/ঘণ্টা গতি পেরোবেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের আবিষ্কার মায়াঙ্ক যাদব। ১৪০কিমি/ঘণ্টা তাঁর কাছে জলভাত। ১৫৬ কিমি/ঘণ্টা স্পিডও তুলেছেন। যদিও চোটপ্রবণ মায়াঙ্ক আইপিএলে তিন ম্যাচের পরই ছিটকে যান। সদ্য ফিট হয়ে ফিরেছেন। সে কারণেই হিসেবি বোলিং। আর এই নিয়েই স্লেজিং।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বল হাতে তাদের শুরুটা ভালোই হয়। ৪১ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারায় ভারত। কিন্তু নীতীশ রেড্ডি এবং রিঙ্কু সিংয়ের জোড়া হাফসেঞ্চুরি, চতুর্থ উইকেটে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। এরপর হার্দিকের ক্যামিও। শেষ অবধি বাংলাদেশকে ২২২ রানের টার্গেট দেয় ভারত।
রান তাড়ায় নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেস-স্পিন কোনওটাতেই স্বস্তিতে দেখায়নি বাংলাদেশ ব্যাটারদের। অপেক্ষা ছিল মায়াঙ্ক যাদবের। অবশেষে দশম ওভারে মায়াঙ্ককে আক্রমণে আনেন ক্যাপ্টেন স্কাই। রাজধানীতে রাজধানী এক্সপ্রেস। সে সময় বাংলাদেশ ৬২-৪। স্পেলের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নেন মায়াঙ্ক। ঠিক প্রথম ম্যাচের মতোই। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট। সর্বোচ্চ গতি তুলেছেন ১৪৯.৭ কিমি/ঘণ্টা।
কমেন্ট্রি বক্সে তামিম ইকবাল বলেন, মায়াঙ্ক কিন্তু ১৫০কিমি/ঘণ্টা ছুঁতে পারল না। তখনও বাংলাদেশ ইনিংসের অনেকটাই বাকি। মুরলি সেকেন্ডের মধ্যেই জবাব দেন, বাংলাদেশও পারল না। পারেওনি। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান তোলে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের পর দিল্লিতে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে একপেশে জয় ভারতের। বাংলাদেশ ইনিংসে সর্বাধিক রান কেরিয়ারের শেষ লগ্নে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াধের। ৪১ রান করেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব এ দিন ৭ বোলার ব্যবহার করেছেন। প্রত্যেকেই উইকেট নিয়েছেন।