Kolkata Football: এ বার আসছে ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী
Prasanta Banerjee autobiography: ভারতীয় ফুটবল এবং কলকাতা ফুটবলে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ফুটবল প্রেমীদের কাছে অচেনা-অজানা নয়। তবে তাঁর খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়তো অনেকেরই হয়নি। ১৯৯১-৯২ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলে বুটজোড়া তুলে রেখেছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।

পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী। ভারতীয় ফুটবলের দুই কিংবদন্তির আত্মজীবনী প্রকাশ হয়েছিল। তেমনই ভারতীয় ফুটবলের দুই সেরা ফুটবলার তথা কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য, সুভাষ ভৌমিকের আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ফুটবল প্রেমীরা এর মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারছেন। বর্তমান প্রজন্মের সুযোগ হয়নি তাঁদের খেলা দেখার। আত্মজীবনীর মাধ্যমে সেই সময়কার দৃশ্যগুলো যেন চোখের সামনে ভাসে। এ বার প্রকাশিত হতে চলেছে কলকাতা ময়দানের প্রথম ‘এক লাখি’ ফুটবলার প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী।
ভারতীয় ফুটবল এবং কলকাতা ফুটবলে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ফুটবল প্রেমীদের কাছে অচেনা-অজানা নয়। তবে তাঁর খেলা দেখার সৌভাগ্য হয়তো অনেকেরই হয়নি। ১৯৯১-৯২ মরসুমে ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলে বুটজোড়া তুলে রেখেছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা ছাড়লেও ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত। এরপরে কোচিং করান প্রশান্ত। মাঝমাঠে দাপিয়ে খেলেছেন। ১৯৭৬ সালে কলকাতা লিগের ডার্বি প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আজও অবিস্মরণীয়।
সেই ডার্বিতে আকবরের ১৭ সেকেন্ডে করা গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে মোহনবাগান। সেই ম্যাচে অবশ্য ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে খেলেছিলেন প্রশান্ত। মোহনবাগান ম্যাচ জিতলেও দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। ডার্বির পর স্বয়ং চুনী গোস্বামী তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। ইডেন থেকে ইস্টবেঙ্গল মাঠ পর্যন্ত রাস্তা লাল-হলুদ সমর্থকদের কাঁধে চড়ে পৌঁছেছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের আত্মজীবনীর নাম ‘মাঝমাঠের রাজপাট’। রথের দিন প্রকাশিত হবে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী। প্রকাশনী সংস্থা দীপ প্রকাশন। সুভাষ ভৌমিকের আত্মজীবনীর মতো প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুলেখকের কাজ করেছেন সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়।
