কলকাতা: বিরাট কোহলি কী পরিবর্তন হয়েছেন! অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এখন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। কিংবদন্তি। আজ তাঁর জন্মদিন (Virat Kohli’s Birthday)। ৩৪ বছর পূর্ণ করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। বিরাটের উত্থানের কাহিনি রূপকথার চেয়ে কম নয়। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছেন। ক্রিকেট কেরিয়ারে প্রাপ্তি অনেক। সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিস্থিতি অনুযায়ী গড়ে তুলেছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup) জয়ী দলে অনেকেই ছিলেন। বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজা ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সে কারণেই বিরাট আলাদা।
বিরাট সেই দলের অধিনায়ক হলেও, তাঁর একার পক্ষে বিশ্বকাপ জেতানো সম্ভব ছিল না। বাকিদের পাশাপাশি বড় অবদান ছিল বাংলার ক্রিকেটারও। উইকেটকিপার ব্যাটার-ওপেনার শ্রীবৎস গোস্বামী। ব্যাট হাতে যেমন ভরসা দিয়েছেন, তেমনই উইকেটের পিছনে তাঁর অবদান ভোলার নয়। ফাইনালের কথাই ধরা যাক। ব্যাট হাতে শ্রীবৎসর অবদান ছিল মাত্র ৬ রান। কিন্তু মণীশ পান্ডের ওয়াইড থ্রো-তে জনজন স্মাটসকে রান আউট, জাডেজার ফুলটসে রিজা হেন্ড্রিক্সের হাই ক্যাচ, কিংবা জাডেজার বোলিংয়ে জোনাথন ভ্যানডিয়ারের কাট করার চেষ্টা এবং উইকেটের পিছনে শার্প ক্যাচ। জন্মদিনে সেই শ্রীবৎস গোস্বামী ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিকে নিয়ে বলছেন, ‘বিরাট কোহলিকে নিয়ে আর কত বার বলব। আমি নিজেও জানি না। বিরাটের ব্যপারে আমি কীই বা বলব, আমি ওকে দেখেছি, সেই বিরাটের সঙ্গে এখনকার বিরাটের অনেক পার্থক্য। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে ওর সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছিল। দেখার সুযোগ হয়েছিল। তারপরে বিরাট কোহলি তো চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। এখনকার বিরাট কোহলি আর তখনকার বিরাট কোহলি…।’
তখনকার বিরাট কোহলি কেমন ছিল? শ্রীবৎস বলছেন, ‘আমি ওকে যে ভাবে দেখেছি, সে টুকুই বলতে পারব। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এক সঙ্গে ছিলাম আমরা। অনূ্র্ধ্ব ১৯ ভারতের হয়ে ট্যুর করেছি। এক সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলেছি। দিল্লির ছেলেরা যেমন হয়, ডাকাবুকো, হইহুল্লোড়, চিৎকার চেঁচামেচি করা ছেলে। ও যেমনই হোক, আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। এখনও বন্ধুত্বটা রয়ে গেছে। খেলার দিক থেকে বলব, প্রতিভা অবশ্যই ছিল। কিন্তু ও যে ভাবে নিজেকে পরিবর্তন করেছে, তা অভাবনীয়। সে কারণেই ও আজ কিংবদন্তি। সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।’ আরও যোগ করলেন, ‘আমি ছেলেবেলার কথা বললাম। ওর ট্রানজিশন পিরিয়ডে ছিলাম না। তবে এটুকু বলতে পারি, ও ফিটনেস নিয়ে প্রচন্ড পরিশ্রম করেছে। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে ও ফিটনেসের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেস সংস্কৃতি এনেছে বিরাটই। আর পারফরম্যান্স নিয়ে আমি আলাদা কী বলব, সেটা সকলের চোখের সামনেই।’