Titas Sadhu: ঝুলনের আক্ষেপ মেটালেন চুঁচুড়ার তিতাস

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Jan 29, 2023 | 8:05 PM

ICC U19 Women's World Cup Final: দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে রবিবারের মেগা ফাইনালে চুঁচুড়া এক্সপ্রেসের গতিতে বেসামাল হয়ে যায় ইংরেজরা। সুইং, বাউন্সে বিপক্ষ ব্যাটারদের ঘুম কেড়ে নেন তিতাস। যা দেখার পর অনেকে বলতেই পারেন- 'তিতাস এক পেসারের নাম'।

Titas Sadhu: ঝুলনের আক্ষেপ মেটালেন চুঁচুড়ার তিতাস
Image Credit source: ICC

Follow Us

কলকাতা: প্রথম ঝলকে বোলিং অ্যাকশন দেখলে মনে হবে যেন, ঝুলন গোস্বামীর ছেলেবেলা। উচ্চতার দিক থেকে অনেকটা এক। প্রায় এক রকম ডেলিভারি আর সেই আগ্রাসন। বাংলার পেসার তিতাস সাধু। রবিবারের সন্ধ্যায় আসমুদ্রহিমাচলকে জানান দিয়ে গেলেন চুঁচুড়ার ১৮ বছরের মেয়ে। মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারকে একার হাতে কাবু করে দিলেন তিতাস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই চ্যাম্পিয়ন ভারত। সিনিয়র দল যে সাফল্য এনে দিতে পারেনি, জুনিয়রদের হাত ধরে সেই সাফল্যই এল দেশের মাটিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঝুরি ঝুরি সাফল্য ঝুলনের ঝুলিতে। একটাই আক্ষেপ ছিল, বিশ্বকাপ। ভারত ও বাংলার পাশাপাশি ঝুলনেরও এই আক্ষেপ মিটল। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেল বাংলার তিন কন্যা। তার মধ্যে অন্যতম অবশ্যই তিতাস সাধু। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।

ফাইনালের মঞ্চে ৪ ওভারে ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট। ঝুলিতে ওপেনার লিবার্টি হিপ আর উইকেটকিপার সেরেন স্মেলির উইকেট। ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি ফাইনালের মতো ম্যাচে স্নায়ুর যুদ্ধে ভারতকে এগিয়ে দেন তিতাস। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলার পেসারের ঝুলিতে মোট ৬ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে রবিবারের মেগা ফাইনালে চুঁচুড়া এক্সপ্রেসের গতিতে বেসামাল হয়ে যায় ইংরেজরা। সুইং, বাউন্সে বিপক্ষ ব্যাটারদের ঘুম কেড়ে নেন তিতাস। যা দেখার পর অনেকে বলতেই পারেন- ‘তিতাস এক পেসারের নাম’।

বাংলার পেসার ম্যাচের পর বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করতে চেয়েছিলাম। সেটাই হয়েছে। আমি উপভোগ করেছি প্রতিটা মুহূর্ত। আমাদের স্পিনাররাও ভালো শুরু করে। তাতে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। উইকেটে গতি আর বাউন্স থাকায় আমার কোনও অসুবিধে হয়নি।’

বাংলার মহিলা দলের কোচ চরণজিৎ সিংয়ের কথায়, ‘প্রায় বছর পাঁচেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ওকে প্রথম দেখেছিলাম। জেলা থেকে মেয়েরা খেলতে এসেছিল। তখন সিএবি লিগ চলছিল। ওর উচ্চতা আমার নজর কাড়ে। ১০ গজ উইকেটে ওকে বোলিং করতে বলি। প্রথম দর্শনেই বুঝে যাই লম্বা রেসের ঘোড়া। ওই বয়সেই বলে বেশ গতি ছিল। তখনই ওকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ২২ গজেও উচ্চতাকে দারুণ ভাবে কাজে লাগায় ও।’ একই সঙ্গে চরণজিৎ বলেন, ‘দু-বছর আগে একপ্রকার জোর করেই আমি আর ম্যাকো (শিবশঙ্কর পাল) ওকে সিনিয়র দলে খেলাই। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে তো খেলেইছে। তবে সিনিয়র পর্যায়ে খেললে আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে যায়।’ বাংলার রিচা ঘোষ ভারতের সিনিয়র দলে আগেই জায়গা করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে উইকেটকিপার হৃষিতা বসুর প্রশংসাও শোনা গেল বাংলার কোচের গলায়। ছেলেদের ক্রিকেটে যখন জাতীয় পর্যায়ে বাংলার ক্রিকেটারদের অভাব, তখন মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন তিতাস, রিচা, ঋষিতারা।

Next Article