লখনউ : বৃষ্টির জন্য প্রথম ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিল। এর পর টানা চার ম্যাচে দাপুটে জয়। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলা। কোচ হিসেবে অভিষেক টুর্নামেন্টেই ভরসা দিচ্ছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাঁর খেলোয়াড়রাও ভরসার মর্যাদা রাখছেন। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা (Bengal)। শেষ ম্যাচে বাংলা বিশাল ব্যবধানে হারলে এবং ছত্তিশগঢ় তাদের শেষ ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জিতলে সে ক্ষেত্রে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে বাংলাকে। এ দিন ছত্তিশগঢ়কে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে হারাল বাংলা। এ দিনও ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed)। বল হাতেও নজর কাড়লেন তিনি। বাংলার জয়ে আর কারা ভূমিকা নিলেন? তুলে ধরল TV9Bangla।
বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় বাংলা শিবিরে কিছুটা অস্বস্তি ছিল। টুর্নামেন্টের শুরুটা সবসময়ই ভালো হওয়া জরুরি। কিন্তু প্রথম ম্যাচটাই ভেস্তে যাওয়ায় তাল কেটেছিল। এর পর আর পিছন ফিরে তাকায়নি বাংলা। পরপর চার ম্যাচে জয়। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে শীর্ষস্থান নিশ্চিত। সঙ্গে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালেও বাংলা। এখনও এক ম্যাচ বাকি। টসে জিতে বাংলাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ছত্তিশগঢ়। ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান যোগ করে অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং রনজ্যোৎ খাইরা। অষ্টম ওভার প্রথম উইকেট হিসেবে ফেরেন রনজ্যোৎ (২১)। পরের ওভারে রান আউট অধিনায়ক অভিমন্যু (৩৩)। তরুণ ক্রিকেটার করণ লাল ৯ বলে ১৬ রান করেন। বাংলাকে বড় রান তুলতে সাহায্য করলেন সদ্য আন্তর্জাতিক অভিষেক হওয়া শাহবাজ আহমেদ। মাত্র ২৮ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ২টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি মারেন শাহবাজ। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান করে বাংলা। অলরাউন্ডার ঋত্বিক রায়চৌধুরি ২৪ বলে ৩১ রান করেন।
বড় রানের লক্ষ্য। শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং ছাড়া বিকল্প ছিল না ছত্তিশগঢ়ের। যদিও বাংলার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে তা সম্ভব হল না। পেসাররা ভালো শুরু দেন বাংলাকে। বাকি দায়িত্ব পালন করেন স্পিনাররা। তিন পেসার মুকেশ কুমার, রবি কুমার এবং আকাশ দীপ মিলিতভাবে ৪ উইকেট নেন। দুই বাঁ হাতি স্পিনার অনবদ্য। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। জাতীয় দলের প্লেয়ার শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।