কলকাতা: জোড়া হারের ধাক্কা সামলে এ বার রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy 2024) ঘরের মাঠে বিহারের বিরুদ্ধে নেমেছে বাংলা। ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত বেছে নেন বাংলার (Bengal) অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বিদায়ী ম্যাচে দলকে জেতাতে চান মনোজ। কাগজে কলমে অনেকটা পিছিয়ে থাকা বিহারের বিরুদ্ধে বাংলার বোলারদের যে দাপট দেখা যাবে তেমনটা আশা করা হচ্ছিল। ম্যাচেও হল তাই। বাংলার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের জন্য ভারতীয় সিনিয়র টিম থেকে মুকেশ কুমারকে (Mukesh Kumar) রিলিজ় করা হয়েছিল। সেই মুকেশ এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালদের দাপটে বিহারের ব্যাটাররা নাকানিচোবানি খেলেন।
বাংলার একাদশে আজ এসেছেন মহম্মদ কাইফ, মুকেশ কুমার এবং শাকির হাবিব গান্ধী। শুক্র সকালে দ্বিতীয় ওভারে বিহারের ওপেনিং জুটি ভাঙেন এ বারের রঞ্জিতে বাংলার হয়ে ডেবিউ করা সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। মাত্র ১ রানে তিনি ফেরান পীযুষ কুমার সিংকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ঋষভ ও মনোহর জুটিতে তোলেন ১৪ রান। এই জুটিকে জমতে দেননি মহম্মদ সামির ভাই মহম্মদ কাইফ। মনোহর (৮) এর উইকেট তুলে নেন কাইফ। এরপর বিহারের উইকেটকিপার ব্যাটার বিপিন সৌরভকে ফেরান পেসার মুকেশ কুমার। তারপর ঋষভ ও গনির উইকেটও ঝুলিতে ভরেন মুকেশ। ইডেনে বাংলা-বিহারের প্রথম দিনের খেলায় লাঞ্চ বিরতি অবধি ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তুলেছিলেন প্রতাপরা।
লাঞ্চ বিরতির পর ৪১ রান তুলে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বিহার। মোট ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও মুকেশ কুমার। এবং ১টি উইকেট মহম্মদ কাইফের। ৪৬.৪ ওভার খেলে ৯৫ রান তুলে অল আউট হয়ে যায় বিহার। এ বার ইডেন মনোজ শো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ রঞ্জি ম্যাচে মনোজের ব্যাটে একটা ঝকঝকে সেঞ্চুরি আসুক, তাই চাইছেন বাংলার অনুরাগীরা।
২০২৩ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। এরপর বাংলা ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের অনুরোধে তিনি সিদ্ধান্ত বদলেছিলেন। তারপর তাঁর নেতৃত্বে গত বারের রঞ্জি ট্রফির ফাইনালেও উঠেছিল বাংলা। আর ইডেন গার্ডেন্সে হয়েছিল গত বারের রঞ্জি ফাইনাল। অবশ্য ট্রফি আসেনি বাংলা শিবিরে। ফাইনালে সৌরাষ্ট্রর কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। মনোজ একাধিক বার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছেন। কিন্তু ট্রফির স্বাদ পাননি। এ বার তো বাংলা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পথে।