Bengal Cricket: অগ্নিভ-র আগুনে ১৯৫, সিএবি লিগে ফের চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর ক্লাব

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Jul 02, 2022 | 7:45 PM

প্রথম ইনিংস লিডে চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর।

Bengal Cricket: অগ্নিভ-র আগুনে ১৯৫, সিএবি লিগে ফের চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর ক্লাব
ইডেনে চ্যাম্পিয়নের ফটোসেশনে ভবানীপুর ক্রিকেটাররা। রয়েছেন সিএবি সভাপতি, সচিবও।

Follow Us

 

কলকাতা: সিএবি ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর ক্লাব। কালীঘাটের বিরুদ্ধে ফাইনাল ড্র। প্রথম ইনিংস লিডে চ্যাম্পিয়ন হল ভবানীপুর। ফাইনালে ১৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংস উইকেটকিপার ব্যাটার অগ্নিভ পানের। পাঁচ দিনের ম্যাচ। ইডেন গার্ডেন্সে ফাইনালে প্রথম ব্যাট করে কালীঘাট। তিনটি অর্ধশতরান কালীঘাট ইনিংসে। ভবানীপুরের পেসার দুর্গেশ দুবে ৪১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। কালীঘাটের ইনিংস শেষ ২৮৪ রানে। ভবানীপুর ব্যাট করতে নেমে একের পর এক বড় পার্টনারশিপ গড়ে। অগ্নিভ পান ১৭ টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারিতে ১৯৫ রানের ইনিংস খেলেন। অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় আমির গনির (৯০)। এছাড়া অর্ধশতরান করেন অভিষেক দাস এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক। ভবানীপুরের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৫৫৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কালীঘাটের ৪৩-২ স্কোরে দু-দলই হাত মিলিয়ে নেয়।

এই নিয়ে তৃতীয়বার লিগ জয় ভবানীপুরের। সব থেকে বড় অবদান কোচ আব্দুল মোনায়েমের। গত কয়েক বছর ধারাবাহিক ভালো খেলছে ভবানীপুর। গত পাঁচ বছরে তৃতীয় বার ফাইনালে উঠেছিল তারা। এবারও ট্রফি জয়। কোচের পাশাপাশি কৃতিত্ব দিতে হবে অধিনায়ক সন্দীপন দাসকেও। গত দু বছরে তিনটে টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুলেছে দলকে। এর মধ্যে ২ টো ট্রফি জয়। দীর্ঘ ১২ বছর ভবানীপুরে খেলছেন অভিষেক দাস। ক্লাবের ধারাবাহিকতায় বড় অবদান রয়েছে তাঁরও। এছাড়া অভিষেক রামন, কৌশিক ঘোষ, অগ্নিভ পান, বোলিংয়ে অলোক প্রতাপ সিং, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, আমির গনিরাও বড় অবদান রেখেছেন। পেসার দুর্গেশ দুবে সেমিফাইনাল, ফাইনালে অনবদ্য বোলিং করেছেন।

প্লেয়াররা কীভাবে কোচকে সাপোর্ট করেছেন? গর্বিত কোচ আব্দুল মোনায়েম বলছেন, ‘এরা প্রত্যেকেই বলা যায় তরুণ ক্রিকেটার। খেলার তাগিদটা বেশি। সে কারণেই পারফরম্য়ান্সটাও ভালো হয়। প্রত্যেকে পরিশ্রমী। আমার দলে যে সবচেয়ে সিনিয়র, সেই অভিষেক দাস দলের মধ্যে সবচেয়ে ফিট প্লেয়ার। ওকে দেখে বাকিরাও উন্নতি করেছে। দলের ফিটনেস অনেক ভালো হয়েছে। সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেটাই। সবাই নিজের দায়িত্বটুকু বোঝে, শৃঙ্খলাবদ্ধ ক্রিকেট খেলে। এই ম্য়াচটাই যদি উদাহরণ ধরা যায়, প্রত্যেকেই অবদান রেখেছে। একটা ছেলের কথা না বললেই, অরিন্দম ঘোয। খুব বেশি পরিচিত নয়। প্রতি ম্যাচেই অবদান রেখেছে।’ বর্তমান ভবানীপুর দল থেকে বাংলা খেলার মতো অনেকেই রয়েছেন। নতুন মরসুমে হয়তো দেখা যেতেই পারে।