দিনের খেলার আর বাকি মাত্র ৪ ওভারের মতো। সময়ের নিরিখে বলা যায় মিনিট দশেক। ততক্ষণে ৯টা ডেলিভারি সামলেছেন রজত পাতিদার। তাঁকে হয়তো নামতে হত না। তবে দীর্ঘ সময় ব্যাট করার ফলে ক্লান্ত হয়ে পড়েন যশস্বী জয়সওয়াল। রাজকোটের আর্দ্র আবহাওয়াও অন্যতম কারণ হতে পারে। বোর্ডের তরফে এখনও জানানো হয়নি। অবসৃত হয়ে মাঠ ছাড়েন যশস্বী। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে তখনই নাইটওয়াচম্যান নামাতে পারত। তবে ভরসা রাখা হয় রজতের উপরই। কিন্তু তাঁর আউট অনেকের হাসির কারণ হয়ে দাঁড়াল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রাজকোটের পিচ ব্যাটিং প্যারাডাইস। ভারতের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি রোহিত, জাডেজার। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন বেন ডাকেট। তেমনই দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেঞ্চুরি যশস্বী জয়সওয়ালের। ব্যাটার নিজে থেকে ভুল না করলে উইকেট নেওয়া কঠিন। বুমরা, সিরাজ, অ্যান্ডারসনের মতো মতো বোলার হলে বিষয়টা অবশ্য আলাদা। কিন্তু রজত পাতিদার যে এ ভাবে আউট হবেন, ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি স্পিনার টম হার্টলিও যেন প্রত্যাশা করেননি।
আর দশটা মিনিট কাটিয়ে দিতেই পারলেই নতুন দিনে নতুন করে শুরু করতে পারতেন রজত পাতিদার। বাঁ হাতি স্পিনার টম হার্টলি কিছুটা শর্ট বল করেছিলেন। শর্ট মিডউইকেটে ফিল্ডার ছিলেন রেহান আহমেদ। কিন্তু রাজকোটের পিচ তো আর পারথ নয়! যে বাউন্স প্রত্য়াশা করেছিলেন রজত, ততটা ওঠেনি বল। বরং বলা ভালো বল ডিপ করছিল। শর্ট পিচ ডেলিভারি দেখে লোভ সামলাতে পারেননি রজত। রেহান আহমেদের উপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ডিপ করায় পুল শট কার্যকর হল না। ক্যাচ প্র্যাক্টিসের মতো রেহানের হাতে বল।
রজত নিজেও হেসে ফেলেন। হয়তো উপলব্ধি করতে পারছিলেন, কয়েক সেকেন্ডের জন্য মনোসংযোগে ব্যাঘাত না হলে এমন শট তিনি খেলতেন না! পাটা পিচে উইকেটের জন্য হা-পিত্যেশ করছিলেন টম হার্টলি। এমন ভাবে তাঁর ঝুলিতে উইকেট আসবে, যেন ভাবেননি। রজতের মতো তিনিও হাসতে থাকেন। পুরোটাই যেন ‘হাস্যকর’ মুহূর্ত।