হঠাৎ পাওয়া সুযোগ। শুরুতে ধাক্কা। দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কেরিয়ারের অভিষেক আন্তর্জাতিক সিরিজেই জয়। ক্যাপ্টেন্সির বাড়তি দায়িত্বে অবশ্য ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়েনি। শুভমন গিলকে নিয়ে আলাদা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকেরই শুরুয়াত থাকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই সিনিয়র স্তরে ক্যাপ্টেন্সির শুরু ছিল শুভমন গিলের। শেষ মুহূর্তে হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরেন। টাইটান্সে একঝাঁক সিনিয়র ক্রিকেটার ছিলেন। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় শুভমনকেই নেতা করার। সিনিয়রদের ভিড়ে এক তরুণ ক্যাপ্টেন। তার আগে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা ছিল না বললেই চলে। প্রাথমিক ভাবে কিছুটা যেন নার্ভাস ছিলেন। ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরেন। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নেতৃত্ব দিলেন শুভমন গিল। অভিষেক সিরিজেই ৫-১’র বিশাল ব্যবধানে জয়।
অনেক ক্ষেত্রেই নেতৃত্বের বাড়তি চাপ পড়ে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে। ভারতীয় দলের ওপেনার শুভমনের ক্ষেত্রে অবশ্য এমনটা হয়নি। প্রথম ম্যাচে দলের কঠিন পরিস্থিতিতে করেছিলেন ৩১। সিরিজে দুটো হাফসেঞ্চুরির ইনিংসও রয়েছে। ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব চাপে ফেলেনি? শুভমনের কথায়, ‘সত্যি বলতে নেতৃত্বটা উপভোগ করি। আমার মনে হয়, নেতৃত্বের কারণে আমার মধ্যে থেকে সেরাটা বেরিয়ে আসে। ম্যাচের মধ্যে আরও অনেক বেশি জড়িয়ে থাকতে পারি। পুরো বিষয়টাকেই উপভোগ করি।’
সিনিয়র প্লেয়ারদের বিশ্রাম দেওয়ায় এই সিরিজে নেতৃত্বের দায়িত্ব পড়ে। কোনও বাড়তি চাপ ছিল না শুভমনের? সিরিজ জয়ী ক্যাপ্টেন বলেন, ‘অবশ্যই চাপ ছিল। তবে বাড়তি কোনও চাপ ছিল এমন নয়। শুধু ব্যাটার হিসেবে খেললেও সেই চাপটা থাকেই। বিশেষ করে পারফর্ম করতে না পারলে চাপ তো থাকবেই। তবে ক্য়াপ্টেন হিসেবে কিছু মজার বিষয়ও রয়েছে। প্রেসার থেকে বেরোনোর যে সন্তুষ্টি, সেটা পুরোপুরি আলাদ অনুভূতি। এত প্রতিভাশালী প্লেয়ারদের নেতৃত্ব দিতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’