মুম্বই: আইপিএল (IPL) নব তারকাদের জন্ম দেয়। এই টুর্নামেন্ট থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে বুমরা থেকে সূর্যকুমার যাদবদের। এক-একটা নাম হঠাৎই হইচই ফেলে দেয় ক্রিকেট সার্কিটে। চেতন সাকারিয়া (Chetan Sakaria) তেমনই। আইপিএল অভিষেকেই বাজিমাত। ঝুলিতে লোকেশ রাহুল, ময়াঙ্ক আগরওয়ালদের উইকেট। রাজস্থানের বাকি বোলাররা প্রচুর রান দিলেও, বাঁ-হাতি পেসার সাকারিয়াই কাঁপুনি ধরালেন পঞ্জাব ইনিংসে। শুধু তাই নয়, বাজপাখির মতো উড়ে গিয়ে ধরলেন বিশ্বমানের ক্যাচও।
কে এই চেতন সাকারিয়া (Chetan Sakaria)? সাকারিয়ার উত্থান যেন রূপকথার গল্পের মতো। ঘাত প্রতিঘাতে ভরা জীবন। ক্রিকেটকে আঁকড়েই যাবতীয় স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নে পাড়ি দিতে একের পর এক কঠিন পরিস্থিতি সামলেছেন। ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না চেতন সাকারিয়ার (Chetan Sakaria) বাবার। কাকুর স্টেশনারি দোকানে কাজ করে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কেনেন চেতন (Chetan Sakaria)। সেই সঙ্গে কোচিং ফি-ও দেন ওই টাকায়। এ বছরের শুরুতেই আত্মহত্যা করেন ছোটভাই।
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন মিতালি রাজরা
গুজরাতের ভাবনগর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এক ছোট্ট গ্রামে বাড়ি। তাই উঠে আসার রাস্তা এতটা সহজ ছিল না। অর্থাভাবের মধ্যে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মামা। ক্রিকেটের খরচ, পড়াশোনার খরচ সব কিছু বহন করেন সাকারিয়ার মামা। তার পরিবর্তে অবশ্য মামার ব্যবসায় সাহায্য করতেন এই তরুণ ক্রিকেটার। টেম্পো চালিয়ে পরিবার চালাতেন বাবা। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই সৌরাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে সুযোগ পান সাকারিয়া। তারপর এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের নজরে আসেন তিনি। যেখানকার ডিরেক্টর প্রাক্তন অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। ৫ মাস সেই ফাউন্ডেশনে থাকেন চেতন।
ধীরে ধীরে সৌরাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলার সুযোগ পান সাকারিয়া। তারপর সিনিয়র টিমে। ৩ বছর আগে গুজরাতের বিরুদ্ধে রঞ্জি অভিষেক হয় চেতন সাকারিয়ার। অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সে বছর ৮ ম্যাচে ২৯ উইকেট নিয়েছিলেন।