কলকাতা : ‘দ্য ওয়াল’। এই শব্দটা একজনের ক্ষেত্রেই মানান সই। রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে কারও নাম মাথায় আসছে কি? যোগ্য উত্তরসূরি কী না, তর্কের বিষয়। তবে উত্তরসূরি বলাই যায়। চেতেশ্বর পূজারা। দ্য ওয়াল না হলেও শুধুমাত্র ওয়াল বলাই যায়। আজ ৩৫-এ পা দিলেন ভারতীয় টেস্ট দলের এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বর্তমানে ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর কোচিংয়েই সামনে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতেও খেলতে নামবেন চেতেশ্বর পূজারা। ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম ভরসা পূজারাও রয়েছেন স্কোয়াডে। জন্মদিনে চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে TV9Bangla-র তরফে অনেক শুভেচ্ছা। তাঁকে নিয়ে রইল বিশেষ প্রতিবেদন।
টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর স্থায়ী ঠিকানা হলেও, তাঁকে ওপেনার বললেও ভুল হবে না। কখনও ওপেন করতে নামেন। অনেক সময়ই ভারত শুরুতেই উইকেট হারালে তাঁকে নামতে হয়। নতুন বল সামলাতে হয়। আবার কখনও ওপেনিং জুটি ভরসা দিলে তাঁকে নামতে হয় অনেক পর। সামলাতে হয় পুরনো বল। কখনও বা দ্বিতীয় নতুন বল। ওপেনারদের প্রধান লক্ষ্যই থাকে যতটা বেশি সময় সম্ভব ক্রিজে কাটিয়ে বল পুরনো করা। ওপেনাররা ব্যর্থ হলেই দায়িত্ব পড়ে পূজারার উপর। টেস্ট ক্রিকেটে স্ট্রাইকরেট কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাও বিতর্কের বিষয়। তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়েও অনেক সময় প্রশ্ন উঠেছে।
চেতেশ্বর পূজারার বড় একটা দায়িত্ব রয়েছে। একটা দিক আগলে রাখা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্রিজে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের মানসিকভাবে গুড়িয়ে দেওয়া। উল্টোদিক থেকে খুব বেশি দূরের কথা ভাবতে হবে না। ২০২০-২১ মরসুমে টানা দ্বিতীয় বার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত। তার আগের সফরে বিরাট কোহলি সহ শক্তিশালী দল ছিল ভারতের। কিন্তু ২০২০-২১ সফরে একটা করে টেস্ট, নতুন চোট, ছিটকে যাওয়া এসব চলতে থাকে। অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্টে লজ্জাজনক হারে টেস্ট সিরিজ শুরু হয়। মেলবোর্নে জিতে সমতা ফেরায় ভারত। সিডনি টেস্ট ড্র হয়। ব্রিসবেনে ম্যাচ এবং সিরিজ জেতে ভারত। তবে যেটা ভোলার নয়, প্রথম ইনিংসে ১৪৫ মিনিট ক্রিজ আগলে ছিলেন পূজারা। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১৪ মিনিট। জশ হ্য়াজলউড, প্যাট কামিন্সদের একের পর এক বিষাক্ত শর্টপিচ ডেলিভারি সারা শরীরে আঘাত নিয়েছিলেন। এমন অনেক অনেক উদাহরণ রয়েছে। যা তাঁর জন্য ব্যাথার হলেও, ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ার মুহূর্ত।