TV9 বাংলা ডিজিটাল – ইয়র্কশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলার সময় চেতেশ্বর পূজারাকে (Cheteswar Pujara) কি ‘স্টিভ’ ডাকা হত?
এশিয়ানদের নাম উচ্চারণ করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে তাদের স্টিভ বলে ডাকা হয়। যা আসলে বর্ণবিদ্বেষী শব্দ (racist reference) হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ইয়র্কশায়ারে (Yorkshire) খেলার সময় পূজারার কঠিন নাম উচ্চারণ করতে পারতেন না অনেকেই। যে কারণে, ড্রেসিংরুমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে স্টিভ বলে ডাকা হত। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে। পূজারা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন – বিতর্ক মেটাতে অফসাইড নিয়মে বদল আনছে ফিফা
ইয়র্কশায়ারের দুই প্রাক্তন অফিসার তাজ বাট ও টনি বাউরি এই অভিযোগ প্রকাশ্যে এনেছেন। যা নিয়ে তদন্তও শুরু করেছে ইয়র্কশায়ারের ম্যানেজমেন্ট।
বাট স্পষ্ট বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে, বিশেষ করে ইয়র্কশায়ারে এশিয়ান ট্যাক্সি ড্রাইভার বা হোটেল কর্মচারীদের স্টিভ বলে ডাকা হয়। কারণ তাদের কঠিন নাম উচ্চারণ করতে পারে না ওরা। এমনকি চেতেশ্বর পূজারার মতো পেশাদার ক্রিকেটারকেও স্টিভ বলে ডাকা হত। যা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন – জাদেজার কনকাসন সাবস্টিটিউট নিয়ে প্রশ্ন, আবার বিতর্কে মঞ্জরেকর
সারা বিশ্বে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ চলছে। যে দেশে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের সংখ্যা বেশি, সেই সব দেশের অনেক মানুষই বর্ণবিদ্বেষের শিকার। যা পাল্টানোর জন্য প্রতিবাদের রাস্তায় নেমেছেন অনেকেই। ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের অনেকেই এই রকম পরিস্থিতির শিকার যে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছেন, তা নিয়েও মুখ খুলেছেন অনেকে। তাজ বাট ও টনি বাউরিরা মিথ্যে অভিযোগ করেননি, তার সমর্থনেও অনেকে পাশে দাঁড়িয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ক্রিকেটার টিনো বেস্ট ও পাক ক্রিকেটার নাভেদ উল হাসান স্বীকার করে নিয়েছেন এই অভিযোগ। জানিয়েছেন, তাঁরাও এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন ইয়র্কশায়ারে খেলার সময়।