মেলবোর্ন: টিম পেইনের (Tim Paine) স্টাইলে ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখা যাবে না তাঁকে। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে ছাপ থাকবে স্টিভ স্মিথের। এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট টিমে কোনও বোলার ক্যাপ্টেন হলেন। প্রত্যাশা মতোই পেইনের ভাইস ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins) নেতৃত্ব দেবেন অজিদের। আবার নেতৃত্বের মঞ্চে প্রবেশ হল স্টিভ স্মিথের (Steve Smith)। দু’বছর আগে বল বিকৃতি বিতর্কে পড়ে অধিনায়কত্ব খুইয়ে ছিলেন যিনি। কামিন্স-স্মিথ জুটিই যে অজি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ক্যাপ্টেন্স হিসেবে কামিন্স প্রথম প্রেস মিটে বলেছেন, ‘অতীতে যারা অস্ট্রেলিয়া টিমের নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের আর আমার নেতৃত্ব দেওয়ার স্টাইল এক হবে না। এক বোলার ক্যাপ্টেনের অনেক কিছুই কিন্তু অজানা থাকবে। তবে স্মিথের মতো কেউ পাশে থাকা নিশ্চিত ভাবেই বড় ব্যাপার। সহ অধিনায়করা যে ভূমিকায় সাধারণত থাকে, সে ভাবে কিন্তু দেখা যাবে না স্মিথকে। বরং ও অনেক বড় ভূমিকা নেবে। আমি যখন বোলিং করব, তখন কিন্তু স্মিথকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে। হয়তো বোলিং পরিবর্তনও করবে।’
স্মিথকে আবার ক্যাপ্টেন্স রুমে ফিরিয়ে আনার অর্থই হল, সামনের দিকে তাকাতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। ২৮ বছরের কামিন্সের উপর আস্থা থাকছে ঠিকই, তবে ধারা বদলে এই প্রথম কোনও বোলারকে ক্যাপ্টেন করা হলেও তাঁর কাজ যাতে সহজ হয়, তার জন্য স্মিথকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে।
৩৪ টেস্টে ১৬৪টা উইকেট পাওয়া কামিন্স বলছেন, ‘আমি যখন বল করব, তখন কিন্তু টিমের সিনিয়রদের কাছে পরামর্শ চাইব। এটাই অন্যতম কারণ ছিল, স্মিথকে ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে চাওয়ার। স্মিথের প্রচুর অভিজ্ঞতা। বিশেষ করে ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়িয়ে ও কিন্তু পুরো মাঠটা দেখতে পায়। বোলিং পরিবর্তন কেমন হওয়া উচিত, স্পিনারদের কী ভাবে ব্যবহার করা যায়, একটা ম্যাচ জেতার জন্য কী পরিকল্পনা দরকার, সে সম্পর্কে ও ভীষণ ভাবে ওয়াকিবহাল। আমরা যৌথ ভাবেই টিম চালাব।’
দিন কয়েক আগেই কামিন্স আর স্মিথের ইন্টারভিউ নিয়েছিল পাঁচ সদস্যের কমিটি। সেখানেই ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের দর্শন পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন কামিন্স। তাঁর কথায়, ‘কে ক্যাপ্টেন বা ভাইস ক্যাপ্টেন হবে, তা আমরা ঠিক করিনি। তবে ইন্টারভিউয়ের সময় আমি পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম, ঠিক কোন পথে টিম চালাতে চাই। আর সেই পদ্ধতির কেন্দ্রে নিশ্চিত ভাবেই স্মিথ থাকবে। ওই ইন্টারভিউয়ের আগে কোন কোন দিক তুলে ধরবেন, তা আমরা আলোচনা করে নিয়েছিলাম। স্মিথকে পাশে পেয়ে খুব ভালো হয়েছে। কারণ, চোটের জন্য কোনও ম্যাচ আমি খেলতে না পারলে ও বাকি কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
I feel incredibly honored, privileged and excited to be named the Australian Mens Test Captain.
I’ll be trying my best and can’t wait to get started at the Gabba in a couple of weeks!Also very lucky to have my man @steve_smith49 alongside me as VC. #ashes pic.twitter.com/iVPurweQP7
— Pat Cummins (@patcummins30) November 26, 2021
কামিন্সের সঙ্গে হাজির ছিলেন স্মিথও। তাঁকে আবার অধিনায়ক কিংবা সহ অধিনায়ক হিসেবে যে অনেকেই দেখতে চাননি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। স্মিথ বলেছেন, ‘অনেকেই এটা যে চাননি, খুব ভালো করে জানি। গত তিন-চার বছরে আমি অনেক কিছুর মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এটাই আমাকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আরও পরিণত করবে বলে বিশ্বাস। তবে কামিন্স যে ভাবে চাইবে, ঠিক সে ভাবেই ওকে সাহায্য করব।’