ভালো ক্রিকেটার হোক বা কোচ, ভারতে কোনওটারই অভাব নেই। এটা যেমন গর্বের, কিছুক্ষেত্রে সমস্যারও। প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক অনেক বেশি। ভারতের অনেক ক্রিকেটারই দেশে সুযোগ না পাওয়ায় দেশ ছেড়ে অন্য দেশের হয়ে খেলেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেটা দেখা গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিমেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন। তেমনই নেদারল্যান্ডস টিমেও রয়েছেন। তেমনই কোচিংয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে। ভারতের অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই অন্য দেশকে কোচিং করিয়েছেন। বলা যাক তেমনই পাঁচ জনের কথা।
ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বজয় মনে রয়েছে? ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট মহেন্দ্র সিং ধোনির। ভারতের কোচ (ম্যানেজার) ছিলেন লালচাঁদ রাজপুত। তিনি কিন্তু অন্য দেশেরও কোচিং করিয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি আফগানিস্তানের কোচ হন। বেশ কিছু স্মরণীয় জয় পেয়েছে আফগানরা। তাঁর সময়েই আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ পেয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এখানেই শেষ নয়, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল অবধি তিনি জিম্বাবোয়ের কোচ ছিলেন। এ বছর আরব আমির শাহির কোচ হয়েছেন লালচাঁদ রাজপুত।
এরপরই বলতে হয় রবিন সিংয়ের কথা। ভারতীয় ক্রিকেটে যাঁকে মাইকেল বেভান বলা হত। অলরাউন্ডার। কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করার ক্ষমতা ছিল তাঁর। কোচ হিসেবেই সাফল্য পেয়েছেন রবিন সিং। আইপিএলে কোচিং টিমে ছিলেন। শুধু তাই নয়, ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকেও কোচিং করিয়েছেন। এ ছাড়া হংকং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব আমির শাহির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট পদেও ছিলেন। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও কোচিং করিয়েছেন।
শ্রীধরন শ্রীরাম। ভারতের এই প্রাক্তন স্পিনার অজি টিমে স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘ সময়। ২০২২ সালে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল পরামর্শদাতা হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক স্তরে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
অজয় জাডেজা। খুব বেশি আগের কথা নয়। ভারতের মাটিতে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের আগে তাঁকে মেন্টর তথা সহকারী কোচের পদে নিযুক্ত করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতের মাটিতে অনবদ্য পারফর্ম করেছিল আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে সেটিই ছিল তাদের সবচেয়ে সফল অভিযান।
সন্দীপ পাতিল। ভারতের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের দুর্দান্ত কোচিং কেরিয়ার রয়েছে। ১৯৯৬ সালে তিনি কেনিয়ার কোচ হয়েছিলেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠেছিল কেনিয়া। তার নেপথ্যে বড় অবদান ছিল সন্দীপ পাতিলের। এ ছাড়াও ভারত ‘এ’ দল এবং ওমানকেও কোচিংয়ে সহায়তা করেছেন।