চেন্নাই: বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। লক্ষ্য ২০০ রান। তাতেও স্বস্তি নেই লোকেশ রাহুলের! ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই নামতে হল। পাঁচ নম্বরের ব্যাটার নামছেন, তৃতীয় ওভারেই। এই নিয়েই কি ক্ষোভ রাহুলের? ম্যাচের শেষে তাঁর কথায় তেমনই ইঙ্গিত। চেন্নাইয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ভারত। চিপকের পিচে স্পিনাররা দাপট দেখাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। টস জিতে ব্যাটিং নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অলআউট ১৯৯ রানে। তাতে অবশ্য রাহুলের খুব একটা লাভ হয়নি। শেষ ওভারে অলআউট হয়েছে অজিরা। অর্থাৎ প্রায় ৫০ ওভারই কিপিং করতে হয়েছে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে যা বললেন রাহুল, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
একে ৫০ ওভারের মতো কিপিং, তার ওপর তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ব্যাটিংয়ে নামা। আর উল্টো দিকে বিরাট কোহলির মতো ব্যাটার। যিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করেন। এ দিন প্রয়োজন ছিল ইনিংস মেরামত করার। খুচরো রানেই জোর দিয়েছিলেন বিরাট। তাতে কাল-ঘাম ছুটল রাহুলেরও। কোহলির সঙ্গে রানিং বিটউইন দ্য় উইকেটে তাল মেলানো সহজ নয়। রাহুল যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন। বিরাট ৮৫ রানে আউট হলেও ম্যাচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়েন রাহুল। ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করেন। এতক্ষণ ফিল্ডিংয়ের পর প্রায় ৪০ ওভারের মতো ব্যাটিং, একে বারেই সহজ নয়।
অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসে ম্যাচের সেরার পুরস্কার রাহুলের। এরপরই অবশ্য বলেন, ‘সবে স্নান সেরে বেরিয়েছি। ভেবেছিলাম, যাক এ বার অন্তত আধ ঘণ্টা বিশ্রাম পাব। কিন্তু নামতে হল। বিরাটই আমাকে পরামর্শ দেয়, কিছুক্ষণের জন্য টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হবে। টিমের জন্য এরকম একটা ইনিংস খেলতে পেরে ভালো লাগছে। পিচ থেকে শুরুতে পেসাররা কিছুটা সুবিধা পাচ্ছিল। পরের দিকে শিশিরের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। তবে পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক পরিস্থিতি ছিল না। পিচে অসমান বাউন্স ছিল।’
পিচে যে অসমান বাউন্স ছিল, তা টের পেয়েছেন বিরাট কোহলিও। তাঁর আউটের কারণ এটাই। শর্ট পিচ বলে পুল শট খেলেছিলেন। যদিও যতটা বাউন্স ভেবেছিলেন, বল ওঠেনি। তেমনই মিচেল স্টার্কের একটি শর্ট পিচ ডেলিভারি বিরাটের হেলমেটে লেগেছিল। রাহুল আরও বলেন, ‘ভেবেছিলাম একটা বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করব ও ম্যাচ শেষ করব। আশা করি, পরবর্তীতে সেঞ্চুরিও আসবে।’